সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা

ইসরায়েলের মুরব্বিদের টনক নড়েছে

গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধকে নিজেদের জন্য বিপদ হিসেবে দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। মাত্র ৩৬০ কিলোমিটার আয়তনের গাজা উপত্যকার যুদ্ধ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, লেবানন ও লোহিত সাগরে। লোহিত সাগরে ইসরায়েলের জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে হামাসের প্রতি বন্ধু মনোভাবাপন্ন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার কারণে। ফলে ইসরায়েলের মুরব্বি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে চলছে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা। এ উদ্দেশে কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে শুক্রবার থেকে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ইউরোপের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল। সপ্তাহব্যাপী এ সফরের শুরুতে শুক্রবার তুরস্ক গেছেন ব্লিঙ্কেন। তুরস্ক গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধ করার বিষয়ে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সফরে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মিসর যাবেন। তার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও যাওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া বন্ধের এ উদ্যোগ নিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ গাজার বাইরে ছড়িয়ে পড়াতে কারও স্বার্থ নেই, ইসরায়েলের না, ওই অঞ্চলের না, বিশ্বেরও না। ইসরায়েলকে ধ্বংসের শপথ নেওয়া হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সমর্থিত অন্য মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো দেশগুলোতে থাকা মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। লেবাননের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলে। হামাসকে ধ্বংস করার যুদ্ধ প্রকারান্তরে ইসরায়েল ও তার মুরব্বিদের বিপাকে ফেলেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গাজার যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে যুদ্ধ দুনিয়ায় অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতার ভূমিকা পালনকারী যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল মুসলিম ও বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর টার্গেটে পরিণত হতে পারে।

সর্বশেষ খবর