শিরোনাম
রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

উন্নয়ন ও সুশাসন

দুই দিকেই সক্রিয় হতে হবে

গত ১৫ বছরে দেশ এগিয়েছে সামনের দিকে। করোনা মহামারিকালে সারা দুনিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়লেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সে সময়ও বেড়েছে। আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও মুখ থুবড়ে পড়েনি। বড়মাপে নতুন সরকারের কর্তব্য হলো এগিয়ে যাওয়ার এ ধারা অব্যাহত রাখা। ১৫ বছরের মধ্যে শেষ দুই বছরে সরকার নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বৈশ্বিক কারণ থাকলেও অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্টতাও ছিল ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এ সিন্ডিকেট দমনে পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন সরকারকে এ বিষয়ে সাফল্য দেখাতে হবে। দেশের অর্থনীতিতে ধকল চলছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ছে আমদানি খরচ মেটাতে। বলা যায় ২০২০ সাল থেকে দারুণ অসুস্থতায় ভুগেছে অর্থনীতি। নতুন সরকারকে এই অসুস্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে হতে হবে কঠোর। দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান শুধু নয়, বাস্তবেও কঠোর হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন, সরকারের ইমেজ বাড়ানো এবং সুশাসন নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কাজ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নই তাদের মূল টার্গেট। সরকারের নীতিনির্ধারকরা আশ্বস্ত করেছেন সামনের পাঁচ বছর খুব দেখেশুনে পা বাড়াতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। এজন্য শুরু থেকেই পরিকল্পনামাফিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া চালাতে চায় তারা। আমাদের বিশ্বাস, দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় করণীয় ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানুষকে স্বস্তি দিতে সবার আগে দ্রব্যমূল্য কমাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। যার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসবে। উন্নয়ন ও সুশাসন দুই দিকেই সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর