শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনি সহিংসতা

ওদের বিষয়ে কঠোর হতে হবে

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ হয়। গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের সঙ্গে সন্ত্রাসের দূরতম সম্পর্কও নেই। আমাদের দেশে গণতন্ত্র চর্চার দুর্বলতায় স্থানীয় ও জাতীয় যে কোনো নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় সহিংসতা। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলোই কেবল অংশ নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বাধা না থাকায় সিংহভাগ আসনে আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনি লড়াই হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে ও পরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একই দলের অফিশিয়াল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। নির্বাচনের পর মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের অন্তত ৩৯ জেলায় জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদেরই মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫ জন নিহত, ১ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত, ১০০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া ৩৫০টির বেশি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। বোদ্ধাজনদের মতে, নির্বাচনকেন্দ্রিক এসব সহিংস ঘটনার লাগাম টানা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে চরম মূল্য দিতে হবে। সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহ রকমের সামাজিক অস্থিরতা। সহিংসতার নেপথ্য ইন্ধনদাতা ও অপরাধীদের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভয়াবহ সহিংসতায় উত্তাল ছিল সারা দেশ। ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ জেলায় নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, সংঘাত, হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট ঘটেছে। তবে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার মাত্রা ছিল আরও তীব্র। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে দলীয় পরিচয় দেখে অপরাধী শনাক্ত করা হবে না। আইনশৃঙ্খলার অবনতির সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। যে সহিংসতা দানা বেঁধে উঠেছে তা নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করতে হবে। সাংগঠনিকভাবেও কঠোর হতে হবে সংশ্লিষ্টদের সম্পর্কে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর