বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভলতেয়ার, রুশো ও আমাদের সুশীলসমাজ

সাইফুর রহমান

ভলতেয়ার, রুশো ও আমাদের সুশীলসমাজ

ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের একটি উক্তি জগদ্বিখ্যাত- “তোমার মতামতের সঙ্গে আমি হয়তো একমত পোষণ নাও করতে পারি; কিন্তু তোমার মতামতটি প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আমার জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে যাব।” মহামতি ভলতেয়ার উক্তিটি করেছিলেন ফরাসি বিপ্লবের বেশ কিছুকাল আগে। আনুমানিক ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। এরই মধ্যে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে আড়াই শ বছর।  কিন্তু আমাদের দেশে মুক্তচিন্তা বিকাশের পথ কতটুকু সুগম হয়েছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়। বিগত দিনগুলোতে আমাদের সুশীলসমাজের মতপ্রকাশ ও বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনায় চারপাশ মুখরিত হচ্ছে।  যে কোনো সভ্য দেশে সিভিল সোসাইটি বা সুশীলসমাজ বলে একটি রাজনৈতিক সচেতনতাসম্পন্ন অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থাকে, যারা জনগণের মুখপাত্র হিসেবে জনগণের পক্ষে কথা বলেন। এ বিষয়ে আমরা শত উদাহরণের মধ্যে বিশেষভাবে বলতে পারি আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব ও রুশ বিপ্লবের কথা। আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লব শুরু হয়েছিল ১৭৭৫ সালে। আর এই বিপ্লবে বিখ্যাত সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন তখনকার সুশীলসমাজ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্যামুয়েল অ্যাডামস, আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন, সাংবাদিক থমাস পেইন, প্রাবন্ধিক ফিলিপ ওয়েটলে, কবি মার্সি ওটিস ওয়ারেনসহ সহস্রাধিক ব্যক্তিত্ব, যারা তাঁদের কণ্ঠস্বর ও লেখনী দিয়ে এই বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁদের বলা হতো ‘প্যাট্রিয়ট’ (এই উপাধিটি অনেকটা আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধা উপাধিটির মতো)। এই প্যাট্রিয়ট উপাধিটি অবশ্য প্রথম ব্যবহার শুরু করেন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, ১৭৭৩ সালে তাঁর প্রেরিত বিভিন্ন চিঠিপত্রে। তিনি নিজেও তাঁর সময়ের একজন অন্যতম সেরা লেখক, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানী ছিলেন। পরে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হন। স্যামুয়েল অ্যাডামস ছিলেন একজন রাজনৈতিক দার্শনিক, লেখাপড়া করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। অ্যাডামস ১৭৬৪ সালে আরোপিত ‘সুগার অ্যাক্টের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি মনে করতেন, এটা আমেরিকার জনগণের অধিকারের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন ছিলেন অর্থনীতিবিদ, অন্যতম প্রথম সংবিধানপ্রণেতা এবং আমেরিকার প্রথম অর্থমন্ত্রী।

অন্যদিকে ফিলিপ ওয়েটলে যুদ্ধ ও দাসপ্রথার ওপর প্রচুর কবিতা লিখে আমেরিকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং মার্সি ওটিস ওয়ারেন আমেরিকার বিপ্লবের ওপর লেখা তাঁর তিন খন্ডের এক অনবদ্য রচনা প্রকাশ করেন আর সেই লেখা আমেরিকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিপ্লবী জাগরণের সৃষ্টি করে। এবার দৃষ্টিপাত করা যাক ফরাসি বিপ্লবের দিকে। ফরাসি বিপ্লবেও অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন তখনকার সুশীলসমাজ এবং সেই সুশীলসমাজের সদস্যরাই ফরাসি ইতিহাসে আলোকিত যুগের সূচনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভলতেয়ার, জ্যাক রুশো, ভিক্টর হুগো, মন্টেস্কু, ডিট্রোটসহ অনেকে। লেখক, দার্শনিক ভলতেয়ার যদিও ফরাসি বিপ্লবের মূল পর্ব অর্থাৎ ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন না, কিন্তু তাঁর লেখনী, মুক্তচিন্তা, দর্শন এক অভূতপূর্ব অবদান রেখেছিল। ভলতেয়ারের মূল দর্শন ছিল বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, যার জন্য আমরা আজও লড়াই করে যাচ্ছি। তখনকার সুশীলসমাজের মধ্যে জ্যাক রুশো ছিলেন অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত মৌলিক দার্শনিক। তাঁর দর্শনের বিষয়বস্তু ছিল ব্যক্তিবৈষম্য, সামাজিক অসমতা ও প্রভেদ। তিনি বিশ্বাস করতেন, রাজা ষোড়শ লুইয়ের সময়ে ব্যক্তিবৈষম্য ও সামাজিক অসমতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর তাই তাঁর লেখনী সোচ্চার হয়েছিল এসবের বিরুদ্ধে। দার্শনিক মন্টেস্কু সর্বপ্রথম রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন- বিচার বিভাগ, বিধানসভা ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং এগুলোর মধ্যে ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স’-এর তত্ত্ব দিয়েছিলেন। রুশ বিপ্লবেও সুশীলসমাজের ছিল অভূতপূর্ব অবদান। তখন অনেকেই সে সময়ের অসীম ক্ষমতাশালী জার দ্বিতীয় নিকোলাসের বিরুদ্ধে তাদের লেখনী দ্বারা রুশ জনগণকে প্রভাবিত করেছিলেন। যেমন ম্যাক্সিম গোর্কি তাঁর বিশ্ববিখ্যাত ‘মা’ উপন্যাসটি রচনা করেন রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে। বিপ্লবীরা গোর্কির এই লেখনী দ্বারা অসম্ভব রকম প্রভাবিত হয়েছিলেন। বিপ্লবাত্মক সাহিত্য রচনা করতে করতে গোর্কি নিজেই একসময় জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে। তিনি একটি পত্রিকা প্রকাশ করে বিপ্লবের বাণী প্রচার করতে লাগলেন। ফলে একটা সময়ে সরকারের কুনজরে পড়ে কারারুদ্ধ হন।

অন্যদিকে কালজয়ী লেখক লিও তলস্তয়ও তাঁর লেখনী দ্বারা রুশ বিপ্লবকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। যদিও তলস্তয় পরলোক গমন করেন ১৯১০ সালে, অর্থাৎ রুশ বিপ্লবের সাত বছর আগে, কিন্তু তাঁর লেখা রুশ বিপ্লবকে এতটাই উৎসাহিত করেছিল যে, স্বয়ং লেনিন তলস্তয় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, “লিও তলস্তয় হলেন রুশ বিপ্লবের আয়না”। সেটা সম্ভবত ২০০৪ কিংবা ২০০৫ সালের কথা, তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আবদুল জলিল, যিনি অবশ্য ট্রাম্পকার্ড রাজনীতিবিদ হিসেবে বিশেষ পরিচিত। টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুশীলসমাজ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমরা যারা রাজনীতিবিদ দুটো কাজ করলে একটা ভালো কাজ করি আর একটা হয়তো দুর্ভাগ্যক্রমে খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সুশীলসমাজ জনমানুষের জন্য কী কাজ করে?”

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এবং আমার সঙ্গে অনেকেই একমত হবেন, আমাদের সমাজে এমন অনেক সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন যারা রাজনীতি করার সুযোগ পেলে এ দুটো কাজের মধ্যে দুটোই সুন্দর ও সঠিকভাবে করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিরা রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন না? আমার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এর একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারি। আমার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি তাঁর নিজ গ্রামে স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা স্থাপনসহ বহু লোকের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর এলাকার অনেকেই তাঁকে সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি নিজে কখনোই রাজনীতির প্রতি কোনো আকর্ষণ অনুভব করেননি। এখন আমাকেও একই কথা শুনতে হচ্ছে। অনেকেই আমাকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হতে অনুরোধ করছেন। এতে আমি ভীষণভাবে অপ্রস্তুত বোধ করছি এই ভেবে যে, আমার নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে যারা ঘোরাফেরা করছেন তারা কেউ জুট ব্যবসায়ী, কেউ গরুপতি, মুরগিপতি (তারা নিজেরা অবশ্য দাবি করেন যে তারা সবাই শিল্পপতি), বিড়ি-সিগারেট ব্যবসায়ী ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই নব্য ধনিকশ্রেণি রাজনীতির প্রতি কেন এতটা আসক্ত? মোটাদাগে এর সরল উত্তর হবে, রাজনীতি করলে সহজেই আরও ধনী হওয়া যায়। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এরকম প্রচুর ব্যবসায়ী মেধাহীন অযোগ্য লোককে মনোনয়ন দিয়েছিল, যার ফলে রাজনীতিতে একটি মেরুকরণ সৃষ্টি হতে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী শাসন আমলে এটা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ২০০১ সালে এটা একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। আর তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির এই ব্যাপক ভরাডুবি। এখানে একটা কৌতূহলকর ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৬৯-৭০ সময়ে মাত্র ২ শতাংশ ব্যবসায়ী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ হার গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০-৮০ শতাংশে। অথচ পাশ্চাত্যের উন্নত দেশ যেমন ব্রিটেন ও আমেরিকাতে যাঁরা আইন প্রণয়ন করতে জানেন এবং আইন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন শুধু তাঁরাই নির্বাচনে অংশ নেন এবং নির্বাচিত হন। এর একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের ইতিহাসের এ যাবৎকালের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখাপড়া করেন অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে জীববিজ্ঞান নিয়ে। কিন্তু যখন তিনি রাজনীতি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি আইন বিষয়ে অধ্যয়ন করে ব্যারিস্টার হন এবং রাজনীতি শুরু করেন। কারণ থ্যাচার মনে করতেন, আইন সম্পর্কে যদি তাঁর জ্ঞান না থাকে তবে তিনি সংসদে গিয়ে কীভাবে আইন পাস করবেন? আজ যদি আমেরিকার বিল গেটস কিংবা ওয়ারেন বাফেট অথবা ব্রিটেনের রিচার্ড ব্র্যানসনের মতো ধনী ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দেন তাঁরা রাজনীতি করবেন তবে সেটা হবে তাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটা হাস্যকর ব্যাপার। বাংলাদেশের হাই কোর্টে বিচারপতি হতে গেলেও একজন আইনজীবীর নিদেনপক্ষে ১০ বছর প্র্যাকটিসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু একজন রাজনীতিবিদের সংসদ সদস্য হতে কোনো যোগ্যতার মাপকাঠি নেই। বিষয়টা সত্যি দুঃখজনক ও লজ্জাকর।

লেখাটি শেষ করব ইতিহাসের একটি সত্য ও মজার ঘটনা দিয়ে। ঘটনাটি রাজা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ও গ্রিক দার্শনিক ডায়াজেনিসের সময়কার। একবার ডায়াজেনিসের কাছে এলেন গ্রিস ও মেসিডোনিয়ার রাজা আলেকজান্ডার। তিনি বৃদ্ধ দার্শনিককে বললেন, হে মান্যবর ডায়াজেনিস। আপনার জন্য আমি কী করতে পারি? ডায়াজেনিস উত্তরে ঈষৎ হেসে বললেন, এ মুহূর্তে আমার সামনে থেকে একটু সরে দাঁড়ান। রোদের আলোয় আমাকে একটু উষ্ণ হতে দিন। আপাতত এতটুকু করলেই আমি সন্তুষ্ট। এখন পাঠকের হয়তো জানতে ইচ্ছা করছে দার্শনিক ডায়াজেনিসের এমন উত্তরে আলেকজান্ডারের মতো দিগি¦জয়ী রাজার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। উত্তর একটু পরে দিচ্ছি। এখন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টির একটি কল্পিত রূপ দেওয়া যাক। ধরি দার্শনিক ডায়াজেনিস বর্তমান বাংলাদেশে জন্মেছেন এবং আলেকজান্ডারের জায়গায় আমরা কল্পনা করতে পারি বর্তমান সরকারের কোনো ক্ষমতাধর মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে, যিনি প্রতিদিন কোনো না কোনো সভায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে কিছু না কিছু বলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। দার্শনিক ডায়াজেনিস সেই ক্ষমতাশালী মন্ত্রীকে আলেকজান্ডারের মতো যথারীতি বললেন, আমার সামনে থেকে একটু সরে দাঁড়ান, রোদের আলো আসতে দিন। এখন আমার সঙ্গে অনেকেই একমত হবেন যে, সেই প্রভাবশালী মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হয়তো বলে উঠবেন, “হে দার্শনিক, আমাকে এভাবে অপমান করছ! এতে আমি নিশ্চিত যে, তুমি এই সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছ।” কথায় কথায় সরকার উৎখাত করার বিষয়টিকে সত্যি এমনটাই হাস্যকর করে ফেলা হচ্ছে।  যদিও আমরা সবাই জানি, দেশে গণতন্ত্র কতটা বিদ্যমান। এখন জানা যাক দার্শনিক ডায়াজেনিসের এমন কথায় রাজা আলেকজান্ডার কী বলেছিলেন। নিঃসন্দেহে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট আমাদের বর্তমান রাজনীতিবিদদের চেয়ে অনেক প্রজ্ঞাবান ছিলেন। কারণ দার্শনিক ডায়াজেনিসের কথায় যখন আলেকজান্ডারের সঙ্গে আসা তাঁর সঙ্গীরা খেপে গেলেন, তখন আলেকজান্ডার তাদের থামিয়ে দিয়ে বললেন, “আমি যদি আলেকজান্ডার না হতাম, তবে ডায়াজেনিস হতে চাইতাম।” ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, আলেকজান্ডার সত্যি দার্শনিক ডায়াজেনিসের হিমালয় সমান ব্যক্তিত্বকে অসম্ভব পছন্দ করতেন আর এজন্যই তিনি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।

 

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল :  [email protected]

সর্বশেষ খবর