বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ স্বাস্থ্য কেন্দ্র

উচ্ছেদ অভিযানে অটল থাকুন

অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে জোরেশোরে। অতীতেও এমন অভিযান চলেছে বহুবার। তবে অভিযানকারীদের সঙ্গে এক ধরনের অলিখিত সমঝোতায় অবৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার দু-এক দিন ঘুরতেই সেগুলো চালু হয়েছে। নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভিন্ন ভাবমূর্তিতে অনেকেই আশা করছেন এবার হয়তো অবৈধদের শাহেনশাহী বন্ধ হবে। তবে প্রশ্ন হলো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। যাদের দিয়ে তিনি অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করবেন তারা যদি উৎকোচদাতাদের ক্রীতদাসের ভূমিকা পালন করেন তবে এত উদ্যোগেও কাজ হবে না। আশার কথা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাফ সাফ বলে দিয়েছেন এখন থেকে সরকারের নির্দিষ্ট শর্ত মেনে বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে হবে। কিছু অসাধু মানুষ সরকারের কোনোরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য যত্রতত্র নামমাত্র প্রতিষ্ঠান খুলে মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে এগুলো আর চলতে পারবে না। এখনো ১ হাজার ২০০টির ওপর প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিবন্ধন নেই। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভালো ডাক্তার নেই, নার্স নেই, টেকনিশিয়ান নেই। তাহলে এরা হাসপাতাল চালাচ্ছে কী দিয়ে? এরা রোগী পাচ্ছে কীভাবে? এগুলো আমাদের ভাবতে হবে। বলেছেন, ইতোমধ্যেই প্রায় এক হাজার অনিবন্ধিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এরকম অনিবন্ধিত অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রও বন্ধ করার কাজ চলমান রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রত্যেকটি প্রাইভেট মেডিকেল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অবশ্যই মেনে হাসপাতাল চালাতে হবে। অমান্য হলেই নিবন্ধন বাতিলসহ কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ফলে দেশবাসীর আশা দুর্নীতি আর অনিয়মের ঘাঁটি হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে বদনাম রয়েছে তার অবসান ঘটবে। দেশবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বছরের পর বছর যে অনিয়ম চলছে তার ইতি ঘটানো সম্ভব হবে। স্বাস্থ্য খাতের সুস্থ পরিবেশ আনতে অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ শুধু নয়, সরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো জরুরি। তা হলে নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে বন্ধ হবে। হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ করা যাবে।

সর্বশেষ খবর