বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রমজানের বাজার

মধ্যবিত্তরাও অসহায়

রমজানে বাজার ব্যবস্থাপনায় এ বছরও অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছে হার মেনেছে সরকার। বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক সরকার হ্রাস করেছিল রমজানকে সামনে রেখে। কিন্তু ভোক্তাদের স্বাচ্ছন্দ্য নয়, মুনাফাখোরদের মুনাফা বাড়াতেই তা শুধু অবদান রাখছে। রমজানে ৬০০ টাকার গরুর মাংস ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সাধারণ মানুষের আয় না বাড়লেও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এমনিতেই দিশাহারা। গত বছরের তুলনায় কিছু পণ্যের দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ। ইফতার-পণ্য ও ফলের দাম হাঁকা হচ্ছে ইচ্ছা মতো। প্রতি বছরই সরকারের পক্ষ থেকে রমজানে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হয়। কিন্তু কথা ও কাজে মিল না থাকায় বাজার সামাল দেওয়া যাচ্ছে না; পণ্যমূল্য ইতোমধ্যে নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। রমজানে ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি ক্রেতারা খেজুর কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর খেজুরের দাম প্রায় দ্বিগুণ। কেজিপ্রতি মানভেদে খেজুরের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। একদিকে ডলার সংকট অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে খেজুরের এমন অগ্নিমূল্য বলে মনে করছেন খুচরা বিক্রেতারা। গত বছর রোজার আগে পিঁয়াজের কেজি ছিল ৩০-৪০ টাকা। সেই দাম এখন প্রায় তিন গুণ। প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। ইফতারে লেবুর শরবতের চাহিদা অনেক। সব শ্রেণির মানুষই ইফতারে কমবেশি লেবুর শরবত পান করে। তবে এবার লেবুর শরবত পান যেন বিলাসিতা। রমজানকে কেন্দ্র করে মুনাফাখোরদের যে মচ্ছব শুরু হয়েছে তার কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদফতর নামের স্বেতহস্তী পোষা হলেও তা শুধু উৎকোচ বাণিজ্যের বিস্তার ঘটাচ্ছে। দেশবাসীর কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা জিইয়ে রাখতে এ ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর