সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভারতবিদ্বেষী রাজনীতির আসল স্বরূপ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

ভারতবিদ্বেষী রাজনীতির আসল স্বরূপ

গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমায় ভিলেন চরিত্র অতি আবশ্যক। ভিলেন না থাকলে নায়কের মূল্য বোঝা যায় না, যেমন রাত না থাকলে দিনের মূল্য বোঝা যায় না। ভিলেন চরিত্রকে ঘৃণা করলেও তার সরব উপস্থিতিতে মানুষ উত্তেজনা ও উদ্দীপনা বোধ করে। ভিলেন না থাকলে সবকিছু পানসে মনে হয়। ভিলেন চরিত্রে গোঁয়ার্তুমি, নীতি-আদর্শহীনতা, দ্বিমুখী আচরণসহ অসুর শক্তির বহিঃপ্রকাশের সঙ্গে চক্রান্তে ষড়যন্ত্রে ভরপুর থাকে। যা কিছু শুভ, সুন্দর, সৎ ও মানবকল্যাণের, তার সবকিছুরই বিপরীতে থাকে ভিলেনের অবস্থান। সব জায়গায় বা মঞ্চে প্রথমদিকে ভিলেনের উত্থান দেখা যায়। তাতে মানুষ চমকে যায়। কিন্তু পেশি ও পশুশক্তির বলে সবকিছুকে যখন তুচ্ছজ্ঞান করতে থাকে তখন ধীরে ধীরে কখন যে নিজের করুণ পরিণতির দিকে ধাবিত হয় তা ভিলেন নিজেও বুঝতে পারে না। যখন বুঝতে পারে পরাজয় আসন্ন, তখন সে সবকিছু নষ্ট ও নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় মেতে ওঠে। শুধু নাটক-সিনেমা নয়, যুগে যুগে বিশ্বের সব প্রান্তেই রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভিলেনের আগমন এবং করুণ প্রস্থান ঘটতে দেখা যায়। গত শতকের ষাট, সত্তর ও আশির দশকে এশিয়া-আফ্রিকা রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভিলেন হিসেবে সামরিক শাসকদের আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু শেষটা কারও ভালো হয়নি। পাকিস্তানের আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউল হক, বাংলাদেশের জিয়া-এরশাদ, চিলির জেনারেল পিনোশে, ইন্দোনেশিয়ার সুহার্তু ও ফিলিপাইনের ফার্দিনান্দ মার্কোস, সবারই প্রস্থান প্রায় একই রকম করুণ পন্থায় ঘটেছে। যেমনটি দেখা যায় নাটক-সিনেমার ভিলেনের বেলায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জামায়াত, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামসহ কট্টর বামপন্থিরা যদি ভিলেনের ভূমিকায় পাকিস্তানি গণহত্যার সহযোগী না হতো তাহলে ৩০ লাখ মানুষকে নির্মম নৃশংস গণহত্যার শিকার হতে হতো না। দেশীয় এ ভিলেন গোষ্ঠী তখন মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে অত্যন্ত জঘন্যভাবে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে সবকিছুতে ভারত ভূত ও ভারতবিদ্বেষী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তবে ভারতবিদ্বেষী রাজনীতি শুরু হয় সেই ১৯৪৭ সাল থেকে। বর্তমান সময়ে এখন ওই একাত্তরের একই গোষ্ঠী ও তাদের উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর কোনো ইস্যু না পেয়ে পুরনো সেই ভারতবিদ্বেষী ভিলেনের রাজনীতি শুরু করায় আবার পেছনের কথা বলতে হবে বিধায় এত বড় একটা ভূমিকা দিতে হলো। পাকিস্তান আমলে আমরা যখন ভাষা রক্ষার দাবি জানালাম তখন সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি শাসকবর্গ ও তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াত-মুসলিম লীগ চিৎকার করে বলতে লাগল এটা ভারতের চক্রান্ত। এটা যারা করছে তারা পাকিস্তানের শত্রু এবং ভারতের দালাল। তারপর যখন চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদির বিষয়ে সমান অধিকার চেয়েছি তখনো বলা হয়েছে এগুলো সব ভারতের ষড়যন্ত্র। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃক বিপুল ভোটে নির্বাচিত যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করা হলো এই অভিযোগে যে, এ সরকার পাকিস্তানের সংহতির শত্রু ও ভারতের দালাল। ১৯৫৪ থেকে ফিরে ২০২৪-এর ওপর চোখ রাখলে একই চিত্র দেখবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আজকেও বাংলাদেশের জামায়াত-বিএনপি ও অতি বামেরা প্রায় একই ভাষায় বলছে এ নির্বাচনে ভারতের চক্রান্তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ন্যায্যতা ও অন্যায্যতার কথা অথবা রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন অথবা যুক্তি নয়, সবকিছুতে তারা ভারতের কারসাজি ও হাত দেখতে পায়। তারা বুঝতে অক্ষম, এর মাধ্যমে তাদের চরম অক্ষমতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। ষাটের দশকে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করা এবং বাঙালির স্বাধীনতার ম্যাগনাকার্টা ছয় দফার বেলায়ও পাকিস্তান শাসকবর্গ ও তাদের এদেশীয় সঙ্গী জামায়াত-মুসলিম লীগাররা একই ভাষায় একই কথা বলেছে। এবার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত-মুসলিম লীগের নেতারা কী বলেছেন তার কিছু উদাহরণ তুলে ধরি। সবাই জানেন দৈনিক সংগ্রাম জামায়াতের নিজস্ব পত্রিকা। তাই অন্য কোনো পত্রিকা নয়, সেই সময়ের দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা থেকে কিছু খবর ও প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি তুলে ধরি। ৮ এপ্রিল ১৯৭১, পূর্ব-পাকিস্তান জামায়াতের একটি বিবৃতি- এদিন দৈনিক সংগ্রামের প্রথম পৃষ্ঠায় চার কলামজুড়ে ছাপা হয়। তাতে বলা হয়, ‘পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী ভারতকে ছিনিমিনি লেখতে দেবে না, পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণ সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের যে কোনো স্থানে দেখামাত্র খতম করে দেবে।’ এখানে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী বলতে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝানো হয়েছে। ১২ এপ্রিল ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় জামায়াতপ্রধান গোলাম আযমের ভাষণ থেকে অংশবিশেষ ছাপা হয়। তাতে বলা হয়, ‘ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের প্রেরণ করে কার্যত পূর্ব-পাকিস্তানের দেশপ্রেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং ভারত পূর্ব-পাকিস্তানকে দাসে পরিণত করতে চায়।’ ৬ মে ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়তে বলা হয়- ‘দুনিয়ার সামনে ইতোমধ্যেই এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, আসলে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী হচ্ছে হিন্দুস্তানি অনুপ্রবেশকারী ও তাদেরই নিয়োজিত চর।’ নব্বই দশকের শুরুতে বিএনপি কর্তৃক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস শান্তি কমিটির সভায় যে বক্তব্য দেন সেটি ১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ছাপা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ছাপা হয় মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, ‘ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ভারতীয় এজেন্ট।’ সবাই জানেন সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে মতিউর রহমান একজন। কয়েকটি মাত্র উদ্ধৃতি তুলে ধরলাম। তাদের সব কথা ও কাজে মনে হবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ চায়নি, ওটা ছিল ভারতের চক্রান্ত।

এবার একটু ফার্স্ট ফরোয়ার্ড করে ১৯৭৫ সালের পরের ঘটনায় আসি। প্রথম সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান এহেন জামায়াত ও মুসলিম লীগের সবাইকে আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার আনুষ্ঠানিক সুযোগ করে দেওয়া শুধু নয়, মুসলিম লীগ আর চরম মুক্তিযুদ্ধবিরোধী উগ্র বামদের নিয়ে বিএনপি গঠন করলেন।

পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলনকারী জামায়াতের প্রধান গোলাম আযমকে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেন, যদিও গোলাম আযম পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন কখনো বাতিল করেননি। প্রতিষ্ঠাকালে প্রথম সারির নেতা কারা ছিলেন এবং একাত্তরে তাদের ভূমিকা কী ছিল তার দিকে নজর দিলে বিএনপির ভারতবিদ্বেষী রাজনীতির আসল শেকড় চেনা যাবে।

শাহ আজিজুর রহমান, আবদুল আলিম, মসিউর রহমান যাদু মিয়া, মির্জা হাফিজ, কাজী জাফর, আবদুর রহমান বিশ্বাসসহ আরও অনেকেই যারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বে ছিলেন তাদের বেশির ভাগই পাকিস্তানিদের সহযোগী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের কারসাজি ও ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদেরই ব্রেনচাইল্ড হচ্ছে বিএনপি। সুতরাং শেকড়ের টানেই দলগতভাবে বিএনপির মনোজগৎ ও চিন্তা-চেতনা ভারতবিদ্বেষী রাজনীতিতে ঠাসা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠাতাদের ব্যর্থ রাজনীতির গ্লানি থেকে বের হতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চরম বিরোধিতা ও ২০০১-০৬ মেয়াদে জামায়াতি নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে জামায়াত-বিএনপির পারস্পরিক সম্পর্কের শেকড় ও গভীরতা সবার কাছেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর রোডমার্চ শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া বলেন, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী স্বাধীনতাবিরোধী নয়, (সময়কাল ২০ অক্টোবর ২০১১)। বিএনপি সরকারের মন্ত্রী মুজাহিদ প্রকাশ্যে বলেন, একাত্তরে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, ওটা ছিল ভারতের ষড়যন্ত্র। পাকিস্তানি স্বার্থরক্ষায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তায় ২০০১-০৬ মেয়াদের জামায়াত-বিএনপি সরকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজ্যগুলোর সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয়-প্রশ্রয়সহ সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০০৪ সালের পয়লা এপ্রিল চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক  অস্ত্রের চোরাচালান ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে। এই যে ভারতবিদ্বেষী রাজনীতি, এটা যে বাংলাদেশের বৃহত্তম মানুষের স্বার্থে নয় সেটা বিএনপির দ্বিমুখী আচরণ দেখেই বোঝা যায়। ভারতবিদ্বেষ থেকে একেবারে ভারতের কাছে নতজানু হওয়ার দুটি উদাহরণ দিই। ২০১৫ সালে অথবা ২০১৪ সালের শেষ দিকে ভারতের বিজেপি সরকারের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকা সফরে আসেন। তখন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির নেতারা হোটেলে ছুটে যান সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুসারে বিদেশি কোনো মন্ত্রী বাংলাদেশে সফরে এলে এবং তিনি যদি চান তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অথবা তার পক্ষে নির্ধারিত স্থানে গিয়ে সাক্ষাৎ করতে পারেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেলায় সাক্ষাৎ লাভের জন্য বিদেশি একজন মন্ত্রীর কাছে হোটেলে ছুটে যাওয়া শুধু নয়, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর সাক্ষাৎ লাভ ছিল লজ্জাজনক নতজানু নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন তখনো বেগম খালেদা জিয়া দলবল নিয়ে ছুটে গেছেন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য। তখন আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর বের হয় এই মর্মে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তিনটি বিষয়ে জানতে চান। প্রথমত, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অধিকতর তদন্ত হলে তাতে বিএনপি সহযোগিতা করবে কি না। দ্বিতীয়, জামায়াতের সঙ্গে ভবিষ্যতে বিএনপির সম্পর্ক কেমন হতে পারে। তৃতীয়, ২০১২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরের সময় পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকার বেগম খালেদা জিয়া কী কারণে বাতিল করেছিলেন। এসব প্রশ্ন নিশ্চয় একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য সুখকর ছিল না। সুতরাং বিএনপির ভারতবিদ্বেষী রাজনীতির কারণ ও স্বরূপ বাংলাদেশ এবং ভারতের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারক কারও জানতে-বুঝতে বাকি নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের মাধ্যমে সব হারিয়ে বিএনপি আবার স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে। জামায়াতকে দাওয়াত দিয়ে ইফতারি খাওয়াচ্ছে। সুতরাং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর ভারতীয় চাদর পোড়ানোর উদ্দেশ্য কারও বুঝতে বাকি নেই। নিতান্ত সরল অর্থ, অতি পরিষ্কার। বহু পুরনো ভাব, নব আবিষ্কার (রবীন্দ্রনাথ-হিংটিং ছট)। ভারত থেকে যা বাংলাদেশে আসে তার প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ খাদ্যদ্রব্য জাতীয়। জিরা, আদা, পিঁয়াজ, রসুন, তেজপাতা ইত্যাদি ভারত থেকে না এলে এসব বাংলাদেশের মানুষকে চার-পাঁচ গুণ দামে কিনতে হবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারে গেলে বাস্তবতা বোঝা যায়। তাই ভারতীয় পণ্য বয়কটের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের কোনো স্বার্থ আছে কী? সুতরাং বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভিলেন না হতে চাইলে তাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর