সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই প্রসূতির মৃত্যু

যথাযথ তদন্তে ব্যবস্থা নিন

রাজশাহীতে দুই প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে স্যালাইন পুশের পর। অন্য দুই প্রসূতি আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের আগে তাদের দেহে স্যালাইন পুশ করা হয়। রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে দুই সপ্তাহ আগে প্রসূতি মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- স্যালাইন পুশ করার কিছু সময়ের মধ্যেই চার প্রসূতির মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুই নারী ওই হাসপাতালের আইসিইউতে এখনো চিকিৎসাধীন। মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃত দুই নারীর স্বজনদের ম্যানেজের চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ব্যবহৃত স্যালাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটলেও গত শুক্রবার তা প্রকাশ পায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোড়পাড় সৃষ্টি হয় স্বাস্থ্য বিভাগে। প্রতিবেদনে হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে- সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের আগে আইভি স্যালাইন দেওয়ার পর চারজন নারীর একই রকম শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে তাদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তাদের কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। হার্টে ব্লক দেখা দেয়। এতে দুই নারীর মৃত্যু হয়। মৃত এক প্রসূতির স্বামী জানান, রাত ৪টার দিকে চিকিৎসকরা জানান, আসমার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছে। হার্টের কার্যক্ষমতাও কমে গেছে। চিকিৎসকদের তিনি বলেন, গর্ভধারণের পুরোটা সময়ই নিয়মিত স্ত্রীকে চেকআপ করিয়েছেন। তখন কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। হঠাৎ করে এখন এত সমস্যা কেন? চিকিৎসকরা তখন জানান, এটা স্যালাইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। রাত সোয়া ৪টার দিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব লোক ও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে তার স্ত্রীকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যায়। ১৫ মিনিট পর সেখানে মারা যান। স্যালাইন পুশের পর কী কারণে চার প্রসূতি একই ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হলো ও দুজন প্রাণ হারাল তা যথাযথ তদন্তে জানা যাবে। আমরা মনে করি এ ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার অবকাশ নেই। স্যালাইন নকল হলে কারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায় থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।

সর্বশেষ খবর