রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইরানে ইসরায়েলি হামলা

সংযম দেখাতে হবে দুই পক্ষকে

দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার বদলা হিসেবে তেহরান ইসরায়েলে রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে ইটের বদলে পাটকেল নিক্ষেপে তারা সদা প্রস্তুত। ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাবে তা ছিল তেলআবিবের কাছে অকল্পনীয়। এ হামলার বদলা নেওয়া ইসরায়েলের জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি এ অভিধার কথা মনে রেখেই নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় তারা ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে এমন আশঙ্কাও দেখা দেয়। মিত্রদের পরামর্শ ছিল এমন কিছু করা ঠিক হবে না যাতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ইরানের পক্ষে চলে যায়। দেখেশুনে মনে হচ্ছে শুক্রবার ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালেও তার পরিসর ছিল সীমিত। আক্রান্ত হলেও এ হামলা ইরান ঠেকিয়ে দিয়েছে এমন বাগাড়ম্বরেরও সুযোগ পেয়েছে তেহরান। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তার দেশ ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায়। মিসর বলেছে, তারা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ অঞ্চলে সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা প্রসারিত করার পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে মিসর। তুরস্ক বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে যেন দুই পক্ষই বিরত থাকে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত- গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও তাজানি উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এড়াতে আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এড়াতে উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বিশ্বনেতাদের অভিমতের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করি এবং আশা করতে চাই বিশ্বশান্তি শুধু নয়, নিজেদের স্বার্থেই দুই পক্ষ সংযম দেখাবে। শান্তির জন্য তার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর