মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

বোরো সংগ্রহ নীতি

দাম কিছুটা বাড়ানো দরকার

দেশে উৎপাদিত ধানের সিংহভাগই বোরো। এ বছর তুলনামূলকভাবে বোরোর উৎপাদন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান গোলায় ওঠাতে শুরু করেছে কৃষক। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বোরো মৌসুমে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারের বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ১ লাখ টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন গম কিনবে সরকার। গত বছরের চেয়ে কেজিপ্রতি ধানের দর ২ টাকা এবং চালে ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা আর প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা। রবিবার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয়, প্রয়োজনে কৃষকের কাছ থেকে ৫ লাখ টনের বেশি ধান কেনা হবে। ধানের পাশাপাশি এবার ১১ লাখ টন সিদ্ধ ও একটন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। গতবার ৪৪ টাকা কেজি দরে চাল কেনা হয়েছিল। এ বছর ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন গমও কেনা হবে। আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে ও ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে। বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে। বোরো ধান-চাল সংগ্রহ নীতি ঘোষণাকালে মন্ত্রী বলেছেন, দেশে খাদ্য মজুত আছে ১২ লাখ টন। বন্দরে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে। আরও ৩ লাখ টন গম কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশে কোনো ঘাটতি নেই। ধান কেনার সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে যুক্ত করা হয়েছে। বোরো ধান-চালের উৎপাদন খরচ গত বছরের থেকে বেশি হওয়ায় এবার সংগ্রহ মূল্য কিছুটা বেড়েছে। দামের কারণে কৃষক উৎসাহিত হবে। কেননা, কৃষক অন্য শস্যে চলে যাচ্ছে, আমাদের চালের প্রয়োজন। বোরো মৌসুমের শুরুতেই ধান-চাল সংগ্রহের যে নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে তা কতটা সফল হবে তা বলার সময় আসেনি। গত বছরের চেয়ে চালের দাম কেজিতে ১ টাকা বাড়ানো হলেও তাতে কৃষক কতটা উৎসাহিত হবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ গত এক বছরে টাকার যে দাম কমেছে তাতে চালের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩ টাকা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক হতো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর