রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর

দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাইলস্টোন

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের প্রভাবশালী সদস্য থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কের পাশাপাশি হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে গ্রথিত। উষ্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। একান্ত বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আওতা বাড়ানোর জন্য ফলপ্রসূ মতবিনিময়ের পাশাপাশি দুই নেতা শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ। মধ্যযুগে দুই দেশের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগ ছিল। চট্টগ্রাম হয়ে মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে চলাচল করত বাণিজ্য বহর। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী থাইল্যান্ডে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা প্রচারিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশ থেকে। সে সময়ে বাংলাদেশও ছিল বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও সভ্যতার অন্যতম জনপদ। প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আসিয়ান দেশগুলোর সমর্থন অর্জনে এ সফর বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর