সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন

জলবায়ু অভিঘাত ঠেকানোর প্রকৃষ্ট পথ

বিশ্বের জলবায়ুতে শুরু হয়েছে অশুভ পরিবর্তন। দুই মেরুর বরফের স্তূপ গলছে। গলছে হিমালয়সহ বিশ্বের অন্য সব সুউচ্চ পর্বতের বরফ। আবহাওয়ায় উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় ঘটছে এ বিপত্তি। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ সমুদ্র উপকূলবর্তী অনেক দেশের জন্য তা বিসংবাদ হয়ে দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার বেসামাল পরিবর্তনে বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও আফগানিস্তানে দেখা দিচ্ছে বন্যা। মরুর দেশ দুবাইয়ে ভয়াল বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে পথ-ঘাট বাড়িঘর স্থাপনা। বাংলাদেশের উপকূল ভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা লবণাক্ত হয়ে পড়ছে জোয়ারের পানিতে। এ প্রেক্ষাপটে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-আইইবির ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব ও ব্যয়সাশ্রয়ী হতে হবে। উল্লেখ করেছেন আমাদের খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জলাধার রক্ষায় হতে হবে যত্নবান। প্রয়োজনে জলাধার সংরক্ষিত রেখে এবং নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ধরে রেখে নির্মাণ করতে হবে স্থাপনা। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে। এর পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেন টেকসই এবং সাশ্রয়ী হয় বিবেচনায় নিতে হবে। এ বিষয়ে তিনি একনেক বৈঠকেও নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে জনগণ কতটুকু লাভবান হবে বা এর রিটার্ন কী আসবে তা দেখে আমাদের জন্য উপযোগী পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু নির্মাণকাজের জন্য নির্মাণ করা চলবে না।  একটা কনস্ট্র্রাকশন হলে কিছু লোক কাজ পাবে, কিছু কমিশন বা কিছু লোক নানা সুবিধা পাবে, সেটা যেন না হয়। আইইবির কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক। এ বিষয়ে শুধু প্রকৌশলী নয়, পরিকল্পনাবিদ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর