সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু মোকাবিলা

এ চ্যালেঞ্জে জিততে হবে

রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে প্রতিরোধ করা গেলে সেটাই ভালো। সে যে রোগই হোক। ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগ হলেও এখন প্রায় সারা বছরই এতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গত বছর দেশে ডেঙ্গুতে প্রায় সোয়া ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। মারা যায় ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। এ বছরও এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ২৯ জন। রোগটি রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রাম-নগরের জনজীবনে। সেজন্যই ডেঙ্গু প্রতিরোধ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উদ্যোগটি প্রশংসনীয়, তবে মশা মারতে কামান দাগা নয়, বরং মশা নির্মূলে সবাইকে আরও শক্ত হাতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নানা কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিস্থিতি এখন ডেঙ্গু জাতীয় রোগ সংক্রমণের অনুকূল হয়ে উঠেছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল। তার ওপর সামনে বর্ষাকাল। বর্ষায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকে শীর্ষে। বিশেষ করে এই সময়টায় সবার সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। যেহেতু ডেঙ্গুর কোনো টিকা-ভ্যাকসিন নেই, তাই সময়মতো শনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ প্রাকৃতিক পরিবর্তন দেশে এডিস মশার প্রজনন বাড়াচ্ছে; যেটা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা। অথচ মশার বিস্তার রোধে সর্বসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অভাব রয়েছে। দায়িত্বহীনতার কারণে মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এই যখন কঠিন বাস্তবতা, তখন ডেঙ্গু মোকাবিলায় উদ্যোগ শুধু নয়, তা বাস্তবায়নও করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহস্থালি পর্যায়েও কার্যক্রম নেওয়া দরকার। লোকদেখানো তৎপরতা নয়; মশক নিধনে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও তদারকি বাড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোতে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে চাই কার্যকর সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। তাহলে ডেঙ্গুর আশঙ্কিত প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা সম্ভব হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জে আমাদের জিততে হবে।

সর্বশেষ খবর