বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মূল্যস্ফীতি ঠেকানো

সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হোক

প্রধানমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। বাজেট সংক্রান্ত সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রয়াস অব্যাহত রাখা। বাজেট প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। এতে জনপ্রত্যাশা পূরণকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের দেড় দশকে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা আগের হাজার বছরের চেয়েও বেশি বললে অত্যক্তি হবে না। অসামান্য এই কৃতিত্ব গিলে খাচ্ছে মূল্যস্ফীতির নোংরা ভূত। দেশ দ্রুত এগিয়ে চললেও তার সুফলের বড় অংশই ভোগ করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে উঠেছে। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তার আগে গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ চার মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। অন্যদিকে, শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শহরে খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ১৯ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। এ প্রেক্ষাপটে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ঠেকানো সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে টাকার মানও ধরে রাখতে হবে। কারণ মাত্র ২৫ মাসেই টাকার দাম ডলারের বিপরীতে এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের প্রকৃত দাম হ্রাস পেয়েছে এর ফলে। আমাদের বিশ্বাস, নিজেদের সুনামের স্বার্থেই সরকার মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রণকে কর্তব্য বলে ভাববে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর