শিরোনাম
বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক নয়, একটি মানবিক আবেদন

মহিউদ্দিন খান মোহন

রাজনৈতিক নয়, একটি মানবিক আবেদন

২০০৪ সালের কথা। আমি তখন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব। একদিন ফোন করলেন আমার কাকা কাজী আবদুর রাজ্জাক। তিনি তখন ভাগ্যকূল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। বললেন, এক হিন্দু বৃদ্ধা গুরুতর অসুস্থ, তার হার্টে পেসমেকার বসাতে হবে। সে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে (জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট) চিকিৎসাধীন। ভদ্রমহিলা অত্যন্ত গরিব, টাকা দিয়ে পেসমেকার বসানোর সামর্থ্য নেই। প্রধানমন্ত্রীর কোটায় বিনামূল্যে পেসমেকার পাওয়া যায়, আমি যেন ব্যবস্থা করি। আমি ভদ্রমহিলার ছেলেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে বললাম। সে অফিসে এলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনপত্র তৈরি করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকীকে দিলাম। ছেলেটিও বিদায় নিয়ে চলে গেল। দুই কি তিন দিন পরে ছেলেটি ফোন করে জানাল, তার মায়ের বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছে। সেই পেসমেকার নিয়ে বৃদ্ধা বেশ কয়েক বছর বেঁচেছিলেন। পরে কামাল সিদ্দিকী সাহেব আমাকে বলেছিলেন, দরখাস্ত পাওয়ার পরে ম্যাডাম দ্রুত তা অনুমোদন করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকা আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার। তাই বিলম্ব না করে মাহিলার দেহে পেসমেকারটি যেন বসানো হয়।

২০০৫ সাল। ম্যাডাম যাবেন বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার নতুন ভবন উদ্বোধন করতে। এ উপলক্ষে জনসভা হবে। সেখানে ম্যাডাম ‘প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের’ আওতায় কিছু উন্নয়নমূলক কাজের ঘোষণা দেবেন। উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ম্যাডামের এপিএস-২ আবদুল মতিনকে আমি বললাম, আমাদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে। মতিন ভাইর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক। তিনি বললেন, ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে এটা ঢুকিয়ে দেব। কাজের চাপে হয়তো মতিন ভাই ভুলে গেছেন বিষয়টি। জনসভামঞ্চে আবদুল মতিনকে বললাম, ভাই, আমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স? তিনি জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললেন, সর্বনাশ! এটা তো ভুলে গিয়েছি! এখন কী করা যায়? তিনি বললেন, হারিস চৌধুরী স্যারের সঙ্গে তো আপনার ভালো সম্পর্ক। তাকে দিয়ে ম্যাডামকে বললে এখনো তালিকাভুক্ত করা সম্ভব। আমি হারিস ভাইকে ঘটনাটি বললাম। তিনি ম্যাডামকে বলার পর ম্যাডাম সম্মতি দিলেন। মতিন ভাই তালিকার একেবারে সর্বনিম্নে কলম দিয়ে তা লিখে দিলেন। বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে ম্যাডাম বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা ঘাষণা করে একটু থামলেন। তারপর বললেন, ‘শ্রীনগরের মানুষ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে নাই। তবে আমরা তাদেরকে বঞ্চিত করব না। তাছাড়া যেখানে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা, সেখানে রাজনীতি চলে না। তাই আমি ঘোষণা করছি, শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।’ তুমুল করতালিতে ফেটে পড়ল জনসভার মাঠ। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরীর কাছে বিএনপি প্রার্থী মমিন আলী বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। ‘শ্রীনগরের মানুষ ভালো ব্যবহার করে নাই’ বলে ম্যাডাম সে খোঁচাটা দিয়েছিলেন।

দেলোয়ার ভাইয়ের কথা শেষ হতে না হতেই ম্যাডাম বললেন, ‘আসুক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, ক্ষতি কী? অন্তত দেশে গণতন্ত্র তো ফিরে আসবে।’ একজন রাজনৈতিক নেতা কতখানি উদার মনোভাবের হলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাকে সহজেই মেনে নেন, তা ভেবে দেখার বিষয়
কথাগুলো মনে পড়ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর খবর পড়ে। একদিন যার বদান্যতায় রাষ্ট্রীয় তহবিলের খরচে বিনামূল্যে দেওয়া পেসমেকার অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষায় ব্যবহৃত হয়েছে, আজ তাঁরই জীবন রক্ষার জন্য নির্ভর করতে হলো পেসমেকারের ওপর। পাঁচ বছর আমি ম্যাডামের সহকারী প্রেস সচিব ছিলাম। সে সময় খুব কাছ থেকে তাঁর কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমার হয়েছে। উপলব্ধি করেছি, তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তাঁর অন্তঃকরণে বাস করছেন এক মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মহীয়সী নারী। রাজনীতির চেয়ে মানবিকতাকে যিনি উর্ধ্বে স্থান দিতেন। কেউ কেউ আমার এ বক্তব্যের হয়তো বিরোধিতা করবেন। তুলে ধরবেন বেগম খালেদা জিয়ার অনেক দোষ-ত্রুটি। অস্বীকার করব না, মানুষ হিসেবে বেগম জিয়া ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নন। তিনিও ভুল করেছেন। আর আজ তার খেসারত দিচ্ছেন।

রাজনৈতিক কারণে একজন মানুষ তথা নেতা বা নেত্রী সময়ে সময়ে ভুল পথে হাঁটেন বা পরামর্শকদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে ভুল কাজ করে বসেন। যে পথ তাঁকে নিয়ে যায় সর্বনাশের দোরগোড়ায়। বেগম খালেদা জিয়ার জীবনে যে এমনটি ঘটেনি, তা বলব না। কে বা কারা তাঁকে দিয়ে দু-চারটি ভুল কাজ করিয়েছে, তাদের নাম-পরিচয় এখানে উল্লেখ অনাবশ্যক। শুধু বলতে চাই, যারা তাঁকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা করেছেন, তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিরও সর্বনাশ করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার পালের গোঁদারা পরবর্তী সময়ে দলে পুনর্বাসিত হয়েছেন। সেই পুনর্বাসিত চক্রটি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং দলে আধিপত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে ভুলভাল রাজনৈতিক পরামর্শ দিয়ে ম্যাডামকে চূড়ান্ত ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হয়তো অনেক সমালোচনা রয়েছে। আমি এটাও বলব না, তিনি কোনো ভুল করেননি। এতদ সত্ত্বেও তিনি যে একজন গণতন্ত্রমনা রাজনীতিক তা অস্বীকার করা যাবে না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন উদার। একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করলে পাঠক বিষয়টি বুঝতে পারবেন। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে প্রশ্ন দেখা দেয়, ফখরুদ্দীন-মইন উ সরকার ঘোষিত নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না। বিএনপির একটি গ্রুপ ম্যাডামকে উৎসাহিত করছে নির্বাচনে অংশ নিতে। মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সেই মুহূর্তে নির্বাচনে যাওয়ার বিরোধী। তিনি বলছিলেন, বিএনপি এখন অগোছালো এবং এ সরকার বিএনপিকে জিততে দেবে না। অন্তত দুই বছর সময় নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে নির্বাচনে যাব। এ নিয়ে গুলশানে ম্যাডামের অফিসে ম্যাডামের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আলোচনার একপর্যায়ে দেলোয়ার ভাই বললেন, ‘এ মুহূর্তে নির্বাচনে গেলে আমাদের দল হেরে যাবে, ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ’। দেলোয়ার ভাইয়ের কথা শেষ হতে না হতেই ম্যাডাম বললেন, ‘আসুক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, ক্ষতি কী? অন্তত দেশে গণতন্ত্র তো ফিরে আসবে।’ একজন রাজনৈতিক নেতা কতখানি উদার মনোভাবের হলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাকে সহজেই মেনে নেন, তা ভেবে দেখার বিষয়।

বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসেছিলেন গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে। রাজনীতিতে প্রবেশ করেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। আর সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নয় বছর হেঁটেছেন রাজনীতির বন্ধুর পথ। সে পথচলায় যাঁকে তিনি সহযাত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন, তিনি শেখ হাসিনা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। একটা সময় গেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে ‘শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া’ নাম দুটি একটি অবয়বে পরিণত হয়েছিল। সে অবয়বটি গণতন্ত্রের। সে সময়ে তাঁরা ছিলেন দেশবাসীর ভরসাস্থল। দুরাচার-দুঃশাসক এরশাদকে হটিয়ে বাংলাদেশে জনগণের শাসন কায়েমের আন্দোলনে শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া ছিলেন আন্দোলনরত কর্মীদের প্রেরণার উৎস। তাঁরা পরিণত হয়েছিলেন একে অপরের পরিপূরক। তারপর রাজনীতির সূত্র ‘রাজনীতিতে চিরশত্রু চিরবন্ধু নেই’ অনুযায়ী একসময় এসে তাদের দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে বেঁকে গেছে। শুধু বেঁকেই নয়, পরিণত হয়েছে রেললাইনে- পাশাপাশি চলবে, তবে মিলবে না কোনো দিন। মনে পড়ছে, ওয়ান-ইলেভেনের অবসানের পর দেশের বর্ষীয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, যিনি শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়ের আইনজীবী ছিলেন, বলেছিলেন, ‘দুই নেত্রী যদি পাগলামি না করে, পরিস্থিতি ভালোর দিকেই যাবে। (সমকাল, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮)। মরহুম রফিকুল হকের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হয়েছে না ভুল প্রমাণিত হয়েছে, সে বিচারের ভার জনসাধারণের।

আজ বেগম খালেদা জিয়া আদালতে দণ্ডিত হয়ে বন্দি। সরকারের বদান্যতায় তিনি জেলখানার পরিবর্তে নিজের বাসায় অবস্থান ও ইচ্ছেমতো চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেয়েছেন। এজন্য সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। তিনি সম্মতি না দিলে এটা সম্ভব হতো না। কেননা, বেগম খালেদা জিয়ার দল এবং তাঁর আইনজীবীদের মুরোদ দেশবাসী দেখেছে। কত হম্বিতম্বি বিএনপি নেতারা করলেন। নেত্রীকে না ছাড়লে এই করব, সেই করব, কত কী। স্লোগান দিলেন- ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দি হতে দেব না’। তারপর যখন তিনি জেলে গেলেন, তখন আবার গগনবিদারি স্লোগান শোনা গেল, ‘আমার নেত্রী আমার মা, বন্দি থাকতে দেব না’। কিন্তু তিনি এখনো কার্যত বন্দি। ফলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওইসব স্লোগানকে বায়বীয় আস্ফালন বলাটা অত্যুক্তি হবে না।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, আদালতের বিচার কিংবা রায় নিয়ে এখানে মন্তব্য করা অপ্রাসঙ্গিক। আমার আজকের এই লেখাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি একটি মানবিক আবেদন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এদেশের রাজনীতিতে আপনারা দুজন আমাদের বাতিঘর। আপনাদের ঘিরে আমরা একসময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছি, রাজপথে জীবন দিয়েছে অনেক তরুণ। একসময় আপনি ছিলেন সময়ের সারথি। আজ আপনি প্রধানমন্ত্রী, আর বেগম খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক দণ্ডিত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে কোনো কথা আমি বলব না, তার বিচার ও রায় নিয়েও একটি শব্দ উচ্চারণ করব না। আমি শুধু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনার জন্য আপনার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। জানি, কেউ আইনের কথা বলবেন, কেউ বিধি-বিধান কিংবা নিয়ম-নীতির কথা বলবেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো জানেন, মানবিকতার সামনে কোনো আইন, বিধি-বিধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আমরা দেখছি, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের নামে আবার সেই পুরনো ‘বাঁদর নাচ’ শুরু করেছে বিএনপি; যা থেকে এতটুকু ফললাভের সম্ভাবনা নেই। আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতাই মুমূর্ষু খালেদা জিয়াকে দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়ার একজন প্রাক্তন কর্মী হিসেবে তাঁর জন্য আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। আপনি তো সেই মহান নেতার কন্যা, যিনি তাঁর মহাসাগরের মতো হৃদয় উজাড় করে শত্রুর প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী নয়, আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার কাছে আমার নেত্রীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা জানি, সিগারেটের খোসার ওপর লেখা তিন লাইনের একটি চিরকুট পেয়ে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সবুর খানকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আপনি তো তাঁরই কন্যা। সব বিরুদ্ধবাদিতা, রাজনৈতিক শত্রুতাকে একপাশে ঠেলে রেখে আপনিও তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মতো চিত্তের অধিকারী বলে আমরা বিশ্বাস করি। পত্রিকায় দেখলাম, কিশোরগঞ্জের বিএনপি নেতা আমার বন্ধুস্থানীয় শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল আপনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, জাতি আপনাকে মনে রাখবে’। সঠিক বলেছেন তিনি। আপনি গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিলে আমার মতো লাখো লাখো মানুষ আপনার কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর