শিরোনাম
রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজধানীর জলাবদ্ধতা

পানি নিষ্কাশনের বাধা দূর করুন

জলাবদ্ধতার এক ভয়াবহ চেহারা দেখল রাজধানীবাসী গত শুক্রবার। ভারী বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় এবং এটিকে নিয়তির লিখন বলেই মেনে নিয়েছে অসহায় নগরবাসী। কিন্তু পুরো রাজধানী জলাবদ্ধতার কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে এমন অঘটন ’৮৮ কিংবা ’৯৮-এর বন্যার সময়ও ঘটেনি। শুক্রবার ছয় ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর অলিগলি এমনকি সব প্রধান সড়কও। বাড়িঘর দোকানপাট কোথাও হাঁটু কোথাও কোমর-সমান পানি। রাজধানীর সব সড়কে জলাবদ্ধতায় যান চলাচলে দেখা দেয় অচলাবস্থা। বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ও শ্রমজীবী মানুষ পড়ে ভোগান্তিতে। ছুটির দিন হওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগের শিকার হন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা দিতে বের হওয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীতে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। পুরান ঢাকার ধোলাইখাল, শাঁখারী বাজার, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার, নয়াবাজার, বাবুবাজার, বংশাল, মালিটোলা, নাজিরাবাজার, ঢাকা মেডিকেল ও গুলিস্তানে পানি জমে থাকে দীর্ঘ সময়। এ ছাড়া মতিঝিল, টিকাটুলী, খিলগাঁও, রামপুরা হাজীপাড়া, মৌচাক, শান্তিনগর, খিলক্ষেতসহ প্রায় সব এলাকার প্রধান সড়ক, অলিগলি ডুবে যায়। পানি নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনার কারণে রাজধানীতে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা যেন বিধিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তা পলিথিনের কারণে ভেস্তে যাচ্ছে। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা নগরবাসীর ঐতিহ্যেরই অংশ। এই অসভ্যতার ইতি ঘটানোর কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় রাজধানীর নর্দমাগুলো রুদ্ধ হয়ে পড়ে পলিথিনের স্তূপে। রাজধানীবাসীকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। বেদখল খালগুলো উদ্ধার ও খননেও জোর দেওয়া জরুরি।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর