মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক নৈরাজ্য

স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে যত্নবান হোন

কারফিউর দ্বিতীয় দিনে রবিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সারা দেশে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের পরিচয় বিশ্লেষণ করে বলা হচ্ছে, তাদের কেউই শিক্ষার্থী নন। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা তাদের শাটডাউন প্রত্যাহার করার পরও তৃতীয় পক্ষের লোকেরা যে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রাখছে এমন ধারণাই মিলেছে দেশের সংবাদমাধ্যমের খবরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযানে নামা হবে। শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে যে আন্দোলনে নেমেছিল, তাদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কখনো দ্বিমত পোষণ করা হয়নি। হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ায়। তারা আন্দোলনে নামার আগেই সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। ১০ জুলাই আপিল বিভাগ যে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন তাতে হাই কোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা প্রদান এবং এর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। রবিবার আপিল বিভাগ কোটাসংক্রান্ত যে রায় দিয়েছেন তার আগে মাননীয় প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, শিক্ষার্থীরা ১০ জুলাই আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের অর্থ সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেনি বলেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝরে গেছে অনেক প্রাণ যা মোটেও কাম্য ছিল না। মাননীয় প্রধান বিচারপতির রায়-পূর্ববর্তী বক্তব্য প্রমাণ করেছে শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়েছে আড়ালে থাকা অপশক্তি। শাটডাউন প্রত্যাহারের পরও অভিন্ন অপশক্তি রাজনৈতিক মতলববাজি চরিতার্থ করতে এখনো আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য অব্যাহত রেখেছে। আমরা আশা করব সরকার আদালতের কোটা সম্পর্কিত নির্দেশ বাস্তবায়নে যথাশিগগির কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। শিক্ষার্থীদের আবেগ কাজে লাগিয়ে যারা অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধে হাত পাকিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে। কেউ যাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থায় দেশের উৎপাদনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর