শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

কঠিন চ্যালেঞ্জ

সংকল্পবদ্ধ হতে হবে সরকারকে

অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এখন অজস্র চ্যালেঞ্জ। সামনে এগিয়ে যেতে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে শৃঙ্খলা  ফেরানো সরকারের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানোও এক বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা খাত ঢেলে সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে সরকারকে। কড়া হাতে সামাল দিতে হবে স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য। নির্বাচন কমিশন, পিএসসি, দুদক, মানবাধিকার কমিশনকে ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ মার্কা অবস্থা থেকে সরিয়ে আনতে হবে। নতুন সরকার এমন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছে যখন ভেঙে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা। প্রশাসন এবং অন্যান্য সেক্টরেও চলছে অস্থিরতা। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে আছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্যও সেটি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের প্রায় সব থানা থেকে সরে যান পুলিশ সদস্যরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় থানায় হয় হামলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনা, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের অভিযোগে মানুষের ক্ষোভের শিকার হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। এর ফলে থানায় উত্তেজিত জনতার হামলায় পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট এখন প্রকট। বিভিন্ন স্থানে ঘটছে ডাকাতি, লুটপাট, ভাঙচুর। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার সমর্থকদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হচ্ছে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠী ও কূটনীতিকদের মধ্যেও। ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ ধারা ফিরে না এলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান ঘটেছে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তৃত্ববাদের থাবা বিস্তারের কারণে। কর্তৃত্ববাদ যাতে আর কোনো দিন ফিরে না আসে তা অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করে সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাও এক বড় চ্যালেঞ্জ। যে চ্যালেঞ্জে জিততে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর