মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিন্ন পরিবার

প্রধান উপদেষ্টার দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকার

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এটি সরকারের সিদ্ধান্ত নয়, দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে এমন একসময় ভাষণ দিয়েছেন, যখন দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাক্রান্ত। দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম নীতিনির্ধারণী ভাষণে তিনি বলেছেন- আমাদের দায়িত্ব দেশের সব মানুষকে একটি পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাগবিতন্ডা হবে। কিন্তু আমরা ভাই-বোন, আমরা বাবা-মা। আমরা কেউ কারও শত্রু নয়। এটি নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ‘পরিবার ভাবনা’র কথা বললেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। ৮ আগস্ট দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি গোটা বাংলাদেশকে একটি পরিবার বলে অভিহিত করেন। শপথ নেওয়ার পরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণেও তিনি বাংলাদেশকে একটি পরিবারের সঙ্গে তুলনা করেন। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘ পৌনে ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে জাতি যখন বহুধাবিভক্ত, তখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারপ্রধানের বক্তব্য দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সরকারপ্রধান সুস্পষ্টভাবে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, ছাত্রদের আহ্বানে তারা দায়িত্ব নিয়েছেন। ছাত্ররা তাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ এ নিয়োগ সমর্থন করেছেন। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাব, যাতে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়- আমরা কখন যাব। তারা যখন বলবে আমরা চলে যাব। প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বন্যাদুর্গত এলাকার বিপদাপন্ন মানুষের ত্রাণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের কথা স্মরণ করেছেন। বলেছেন, ভবিষ্যতে যাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে অভ্যন্তরীণ এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার। স্পষ্টভাবে বলেছেন, গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারপ্রধান দেশত্যাগ করার পর এখন নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত থাকবে। উদার গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ও ঘোষণা করেছেন তিনি। যার বাস্তবায়নে উন্মুখ দেশের প্রতিটি মানুষ।

সর্বশেষ খবর