রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ষষ্ঠ শ্রেণির পড়াশোনা

বাংলা দ্বিতীয়পত্র

 

আতাউর রহমান সায়েম, শিক্ষক, বাংলা

 বিরাম চিহ্নের ব্যবহার (Punctuation)

 

সংজ্ঞা : বাক্য তার অংশগুলোর উচ্চারণ ও সঠিক অর্থ সহজভাবে বোঝার জন্য যে সমস্ত চিহ্নের ব্যবহার হয়, সেগুলোকে বিরাম চিহ্ন বলে। বিরাম চিহ্নের অন্য নাম হলো যতি চিহ্ন।

প্রকৃতি : আমরা অবিশ্রান্তভাবে কথা বলতে পারি না। সে জন্য কথার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের একটু বিরাম বা বিরতি দিতে হয়। এই বিরতিগুলোর রয়েছে নির্দিষ্ট চিহ্ন। এই চিহ্নগুলো আমাদের বক্তব্য বা লেখার ভাষাকে বোধগম্য, সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যস্ত করে তোলে।

 

বিরাম চিহ্নের প্রকারভেদ : বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিরাম চিহ্নগুলোকে তার ভাব বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি ১২টি ভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে। নিচে তা ছকের সাহায্যে দেখানো হলো :

 

 

                কমা বা পাদচ্ছেদ (,)-র প্রয়োগ :

১.            সাধারণত, বাক্যের যে স্থানে বিরতি হয়, সেখানে কমা (,) বসে। কমা হলো একটি বিন্দুর মতো বিশ্রাম, সামান্য দম নেওয়ার মতো ব্যাপার। তারপর আবার বক্তব্য শুরু করতে হয়। মনে রাখতে হবে যে, কমার সাথে বক্তব্য কখনোই শেষ হয় না। আরও মনে রাখতে হবে যে, বিশেষ্য, বিশেষণ এবং ক্রিয়াপদ একত্রে বসলে প্রত্যেকটির পরে কমা (,) বসে। যেমন- শাহীন, শায়মা ও নয়ন ভাত খাচ্ছে।

২.            বাক্যের মধ্যে যদি একটি বিশেষ্য পদকে ভালো করে বুঝানোর জন্য অন্য একটি বিশেষ্য পদ বসে, তাহলে পরের বিশেষ্য পদের আগে কমা বসে। যেমন- ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ স্থান।

৩.           বর্তমানে বাংলা ভাষায় সম্বোধনের পরে কমা (,) ব্যবহৃত হয়। যেমন- সাব্বির, এদিকে এসো তো।

৪.            জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেকটি খণ্ডবাক্যের পরে কমা (,) বসে। যেমন- যে ছেলেটি স্কুলে যাচ্ছিল, সে আমার বন্ধু।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর