রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্টাডি ট্যুরে আগ্রায় জাবির ইতিহাসের শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি

স্টাডি ট্যুরে আগ্রায় জাবির ইতিহাসের শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর একদল শিক্ষার্থী গত ২১ নভেম্বর ১২ দিনের এক স্টাডি ট্যুরে ভারতে গিয়েছিল। দেশটির ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন ছিল-ই এই ট্যুরের মূল উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে ওইদিন রাতে বিভাগের ২ জন শিক্ষকসহ ১০ জন যাত্রা শুরু করে কলকাতার উদ্দেশে। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান ও তার সহধর্মিণী অধ্যাপক মাসুমা সুলতানা। ২২ নভেম্বর কলকাতা পৌঁছে সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশন থেকে সিমলার উদ্দেশে ট্রেন ভ্রমণ শুরু হয় তাদের। দীর্ঘ প্রায় ৩২ ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণ ছিল তাদের জীবনের নতুন অভিজ্ঞতা। রাত পৌনে ৩টায় পৌঁছে চান্দিগড় স্টেশনে। সেখান থেকে টেম্পো ট্রাভেলারে চেপে রওনা  দেয় সিমলার উদ্দেশে। পাহাড়ি রাস্তায় আঁকাবাঁকা পথে যেতে চারপাশের প্রকৃতি দেখে অভিভূত হয় তারা। সিমলায় উঁচু পাহাড়ে মালভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্রধান শহরটি ছিল নজর কাড়ার মতো। এছাড়া পাহাড়ি পথে ঘোড়ার পিঠে চড়ে কুফরি নামক জায়গা পরিদর্শনও ছিল রোমাঞ্চকর। পাশাপাশি ‘গ্রিনভ্যালি’তে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে তাদের মনে হয়েছে এ এক ভিন্ন জগতের চিত্র। প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করেই তারা ঘুরে বেরিয়েছি সিমলার পথে প্রান্তরে। সঙ্গে বানর মামাদের দুষ্টমিও ছিল আনন্দের অংশ। সিমলা থেকে তারা যায় উষ্ণ অঞ্চল জয়পুরে। সেখানে আম্বার ফোর্টের অসম্ভব কারুকার্য দেখে মুগ্ধ তারা। জয়পুরের অন্যতম ‘হাওয়া মহল’ এর ছোট ছোট জানালা  ভাবিয়েছে সেই যুগের রাজ-রাজাদের কর্মকাণ্ড আর শৈল্পিক নিদর্শনকে। রাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় সিনেমা হল রাজ মন্দিরেও কিছু সময় কাটায় তারা। জয়পুর থেকে টানা ৮ ঘণ্টার বাস ভ্রমণ শেষে ওই শিক্ষার্থীরা পৌঁছে আগ্রাতে। মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর কথা বার বার পাঠ্যপুস্তকে পড়লেও এবার বাস্তবে অবলোকনের সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত ছিল।

আগ্রার তাজমহল তাদের স্মরণ করিয়েছে সম্রাট সাজাহানের ভালোবাসার গল্প। চারপাশের সুবিশাল প্রাচীর ছিল নজর কাড়ার মতো। এরপর তারা গিয়েছিল আগ্রার অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান ফতেহপুর সিক্রিতে। সর্বশেষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন, নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম, ভিক্টোরিয়া পার্ক ও কলকাতা মিউজিয়ামে। ১২ দিনের ভ্রমণ শেষে ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা আর স্মৃতি নিয়ে প্রিয় ক্যাম্পাস সবুজের সমারোহে ফিরে। অভিজ্ঞতা আর স্মৃতির ঝুড়িতে যোগ হয়েছে নানান গল্প। শতাব্দী ধরে টিকে থাকা নানা স্থাপত্য, শিল্পকর্ম আর ঐতিহ্য স্থান করে নিয়েছে তাদের অন্তরে।

সর্বশেষ খবর