উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বহু শিক্ষার্থী প্রতি বছর পাড়ি জমাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। পশ্চিমা দেশগুলোতে শিক্ষা ও বসবাসের খরচ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি । তাই বর্তমানে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়াকে প্রথম পছন্দের তালিকায় রাখছে। পছন্দের তালিকায় প্রথম হওয়ার মূল কারণ বর্তমানে মালয়েশিয়ার শিক্ষার মান বৈশ্বিক মানের এবং দেশটির অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থানের অগ্রগতি হয়েছে জ্যামিতিক হারে। অন্যদিকে, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের দেশটিতে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া মালয়েশিয়ার আবহাওয়া অনেকাংশে বাংলাদেশের মতোই।
শিক্ষার দিক দিয়ে এশিয়ার মধ্যে মালয়েশিয়া এগিয়ে গেছে অনেক দূর। এছাড়া বিশ্বব্যাপী বিদেশি শিক্ষার্থী টানার দিক দিয়ে ১৯তম স্থানে রয়েছে দেশটি। তাই মালয়েশিয়া এশিয়ার ‘হায়ার এডুকেশন হাব’ হিসেবে পরিচিত। মালয়েশিয়ায় অনেক নামিদামি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম University Utara Malaysia UUM.
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন ট্রেড ও ডিপ্লোামা কোর্সের জন্য মালয়েশিয়ান সরকার অনুমোদিত এবং ব্রিটিশ ও মালয়েশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ISBA UK পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে ডিগ্রিধারীরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জাতীয় ও বহুজাতিক ফ্যাক্টরিতে চাকরি করার সুযোগ পেয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটি উটারা মালয়েশিয়াতে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিচ্ছে পান্থপথের ড্যাফোডিল কনকর্ড টাওয়াস্থ ড্যাফোডিল পরিবারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এডমিশনডটএসি। আরও জানতে ০১৮১১৪৫৮৮৫৩। ভিজিট www.admission.acমালয়েশিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কয়েকটি ধাপ সম্পূর্ণ করতে হয়। প্রথমে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের ইউনিভার্সিটি বরাবর আবেদন করবে এবং সাবজেক্ট বাছাই করবে। এরপর ভিসা এপ্রোভাল লেটারের জন্য আবেদন করবে। ভিএএল (ভিসা এপ্রোভাল লেটার) পাওয়ার পর অফার লেটার, ভিসা এপ্রোভাল লেটার, পাসপোর্ট, মূল সনদ, স্পন্সরশিপের সকল কাগজপত্র, নির্ধারিত ভিসা ফি ও ছবিসহ ঢাকাস্থ মালয়েশিয়া হাইকমিশনে জমা দিতে হবে। ভিসা পাওয়ার পর শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত টিউশন ফি পাঠাতে হয়। অতঃপর বিমানের টিকিট কেটে মালয়েশিয়া চলে যাবে। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এয়ারপোর্টে এসে রিসিভ করে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে থাকে।