সৃজনশীল প্রশ্ন
১. ‘ক’ দ্বীপের আয়তন ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এখানে প্রায় এক কোটি লোক বাস করে। এ দ্বীপটি পরিচালনার জন্য একটি সরকার আছে। এ সরকার দ্বীপটির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
ক. ‘সিভিটাস’ শব্দের অর্থ কী? ১খ. সমাজ বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ দ্বীপকে কোন ধরনের সংগঠন বলা যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কী মনে কর উক্ত সংগঠনের জন্য জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব অপরিহার্য? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২. বাংলাদেশি জিয়াদ ডিভি লটারিতে আমেরিকায় গিয়েছে। সে বুদ্ধি, বিবেক ও আত্মসংযমের অধিকারী। সে বাংলাদেশি রুমাকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে যায়। আমেরিকায় তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়, যার নাম রাসা।
ক. প্রায় কত বছর আগে প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ধারণার উদ্ভব হয়? ১
খ. নাগরিক বলতে কী বোঝ? ২
গ. রাসা কোন দেশের নাগরিক? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘জিয়াদ একজন সুনাগরিক’—মূল্যায়ন কর। ৪
৩. জনাব সুজা একজন ন্যায়পরায়ণ বিচারপতি। তিনি যেসব আইন প্রয়োগ করেন, তার অনেকটা রাষ্ট্রীয় প্রথার ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া তিনি মুসলিম ও হিন্দু আইনগুলোও অনুসরণ করেন। তিনি বিচারকাজে কোনো জটিল সমস্যায় পড়লে অধ্যাপক ডাইসির ‘ল অব দ্য কনস্টিটিউশন, ব্ল্যাকস্টোনের কমেনটরিজ অন দ্য লজ অব ইংল্যান্ড’ গ্রন্থের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া তিনি পূর্ববর্তী বিচারকের রায় অনুসরণ করেন। তিনি আইনসভা কর্তৃক প্রণীত নতুন আইন সম্পর্কেও সজাগ দৃষ্টি রাখেন।
ক. সাধারণ আইনকে কত ভাগে ভাগ করা যায়? ১
খ. স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ? ২
গ. জনাব সুজা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেন সেগুলোকে কী বলা হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নাগরিক জীবনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনাব সুজার অবদান মূল্যালয়ন কর। ৪
৪. রিফাত চীন থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসে তার বন্ধু মুর্শেদের সঙ্গে আলোচনা করছিল। রিফাত বলল, চীন রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত। এ শাসন ব্যবস্থা জনগণের অংশগ্রহণে, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের কল্যাণার্থে পরিচালিত হয়। তবে শাসন ব্যবস্থাটি ব্যয়বহুল। যেখানে দলীয় স্বার্থের প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং নীতির ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। মুর্শেদ এসব কথা শুনে বলল, আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলোও এ রকম।
ক. ক্ষমতা বণ্টনের নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? ১
খ. পুঁজিবাদী রাষ্ট্র বলতে কী বোঝ? ২
গ. রিফাত কোন ধরনের শাসন ব্যবস্থার কথা বলছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত শাসন ব্যবস্থাটি কী সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত শাসন ব্যবস্থা? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৫.
ক. বাংলাদেশে মোট কতটি প্রশাসনিক উপজেলা আছে? ১
খ. সচিবালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ দ্বারা কোন সংগঠনটিকে বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ‘খ’ চিহ্নিত সংগঠনটির প্রশাসনিক প্রধান কে? তার কার্যাবলি মূল্যায়ন কর। ৪
৭. বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে ‘ক’ এবং ‘খ’ ব্যক্তি একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন স্থানে মিটিং, মিছিল কর্মসূচি পালন করেন। নির্বাচনে ভোটাররা ‘ক’ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন।
ক. বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন কয়টি? ১
খ. রাজনৈতিক দল বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘ক’ ব্যক্তি কোন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের নির্বাচন পদ্ধতি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় কতটুকু কল্যাণমূলক? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৮. দীপ্ত একজন বাংলাদেশি। সে সোভিয়েত ইউনিয়নে বাস করে। দেশে ফিরে এসে দীপ্ত তার বন্ধু রায়হানের সঙ্গে তার প্রবাস জীবনের আলোচনা করছিল। দীপ্ত বলল, সোভিয়েত ইউনিয়নে একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা একটি আদর্শ বা কিছু নীতি বা কর্মসূচির ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে সংগঠিত হয়। উক্ত জনগোষ্ঠী সব ধর্ম-বর্ণ-নারী-পুরুষ, শ্রেণি-পেশা-নির্বিশেষে সবার স্বার্থে কাজ করে এবং দেশের নেতৃত্ব দান, সরকার গঠন, জনমত গঠন, রাজনৈতিক শিক্ষাদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে থাকে।
ক. আওয়ামী মুসলিম লীগ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. নির্বাচন বলতে কী বোঝ? ২
গ. দীপ্ত কোন জনগোষ্ঠীর কথা ইঙ্গিত করেছে। ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উক্ত জনগোষ্ঠীর অবদান মূল্যায়ন কর। ৪
৯. জনাবা সাহিদা বেগম একজন গ্রাম্য প্রতিনিধি। তিনি এলাকার উন্নয়নের জন্য মত্স্য চাষ, পশু পালন ও পশুসম্পদের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ এবং রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম তদারক করেন। তাঁর সঙ্গে আরও কাজ করেন একজন চেয়ারম্যান এবং ১১ জন সদস্য।
ক. বাংলাদেশে পার্বত্য জেলা কয়টি? ১
খ. নারীর ক্ষমতায়ন বলতে কী বোঝ? ২
গ. জনাবা সাহিদা বেগম কোন সংগঠনের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নাগরিক বিকাশে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অবদান মূল্যায়ন কর। ৪
১০. রফিক ‘ক’ নামক একটি দেশের প্রবাস জীবনযাপন করে। সে দেশের মৃত্যু হারের চেয়ে জন্ম হার বেশি এবং সে দেশের সম্পদের বৃদ্ধিও বেশি নয়। দেশটির মাথাপিছু আয় খুবই কম এবং শিক্ষার হারও কম। ফলে সে দেশের জনসাধারণ নানা রকম দুর্ভোগের শিকার হয়।
ক. জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান কততম? ১
খ. কর্মমুখী শিক্ষা কী? ২
গ. ‘ক’ দেশটির জনসাধারণের দুর্ভোগের প্রধান কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সমস্যা সমাধানে নাগরিক হিসেবে আমাদের করণীয় কী? বিশ্লেষণ কর। ৪
(চলবে)