(পূর্ব প্রকাশের পর)
একাত্তরের দিনগুলি : জাহানারা ইমাম
ক. ‘রেইনকোট’ গল্পটি প্রকাশিত হয় কত সালে?
খ. ‘রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুর’—উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. শহীদ মিনারের ওপর আক্রোশের বিষয়টি ‘রেইনকোট’ গল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে? উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের খণ্ডাংশ মাত্র—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
খ-বিভাগ পদ্য
৫. কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়
পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস-তেমনি সুঘ্রাণ-
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে।
আমারো ইচ্ছে করে এই ঘাসের এই ঘ্রাণ
হরিৎ মদের মতো গেলাসে-গেলাসে পান করি,
ঘাসের পাখনায় আমার পালক,
ঘাসের ভিতর ঘাস হয়ে জন্মাই কোনো এই নিবিড়
ঘাস-মাতার শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।
ঘাস : জীবনানন্দ দাশ
ক. জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
খ. “সেখানে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে রূপসীর শরীরের ’পর”—উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. জীবনানন্দ দাশের কবিতায় প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের অবিচ্ছেদ্য সংহতির বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার আলোকে আলোচনা কর।
ঘ. “সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকের চেয়ে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার ভাবের গভীরতা ও ব্যাপকতা অধিক।” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।
৬. হে মহান শহীদেরা, তোমরা এই বাংলায় নেই, এই নির্দয় সত্য মেনে নিতে পারি না কিছুতেই আমরা যখন শীত সকালের মধুর রোদে হাঁটি কিংবা কোনো জ্যোত্স্না রাতে শুনি রবীন্দ্রসংগীত, তখন উপলব্ধি করি তোমাদের উপস্থিতি। যখন আমরা সুন্দর এবং কল্যাণের অভিষেকের প্রস্তুতির জন্যে মিছিল করি, যখন পশু-তাড়ানোর সংগ্রামে আমরা মিলিত হই জনসভায়, তখন স্পষ্ট দেখতে পাই তোমরা আছ আমাদের পাশে। তোমাদের চোখে মানবতার অবিনশ্বর দীপ্তি, হাতে উজ্জ্বলতম ভবিষ্যতের ঠিকানা। আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রার পথে অজস্র ফুলের বিকাশ, পাখিদের নীলিমা-ছোঁয়া গীতধারা।
আমরা এসে দাঁড়িয়েছি : শামসুর রাহমান
ক. ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় প্রাণ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
খ.‘একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রং’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতার বিষয়গত কোনো সাদৃশ্য আছে কী?
ঘ.‘‘উদ্দীপক এবং ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ উভয় কবিতায় দেশকে ভালোবেসে যারা আত্মদান এবং আত্মাহুতি দিয়েছিল তাদের সংগ্রামী চেতনার শিল্পভাষ্য রচনা করা হয়েছে’’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৭. আমরা জেগেছি আমরা লেগেছি কাজে
আমরা কিশোর বীর।
আজ বাংলার ঘরে ঘরে
আমরা যে সৈনিক মুক্তির।
সেবা আমাদের হাতের অস্ত্র
দুঃখীকে বিলাই অন্নবস্ত্র
দেশের মুক্তি-দূত যে আমরা
স্ফূলিঙ্গ শক্তির...
বাঙলার বুকে কালো মহামারী
মেলেছে অন্ধপাখা,
আমার মায়ের পিঞ্জরে নখ বিঁধেছে রক্তমাখা
তবু আজো দেখি হীন ভেদাভেদ!
আমরা মেলাব যত বিচ্ছেদ;
আমরা সৃষ্টি করব পৃথিবী নতুন শতাব্দীর।
ক. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
খ. ‘সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে’— উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় তারুণ্যের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর।
ঘ. জড় নিশ্চল প্রথাবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন, কল্যাণ ও সেবাব্রত উদ্দীপক এবং ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
গ-বিভাগ উপন্যাস
৮. স্বধর্মত্যাগী স্বার্থান্বেষী ভণ্ড নবীদের আবির্ভাবের ফলে নব-প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ধর্ম এবং রাষ্ট্র একটি যুগসন্ধিক্ষণের সম্মুখীন হয় এবং এর ভিতও প্রকল্পিত হয়ে উঠে। যারা নিজেদের নবী বলে দাবি করে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মুসায়লামা। স্বলিখিত বাণীকে ঐশীবাণী বলে প্রচার করে সে নবুয়ত দাবি করে এবং নবী করিম (সা.) কে একটি লিখিত পত্রে জানায় যে, ধর্মপ্রচার এবং আরব-ভূমিতে শাসনকার্য নির্বাহের জন্য সে রসুলের সমতুল। কোরআনের ভাষা নকল করে জনসাধারণকে সে বিভ্রান্ত করত। ভণ্ড নবীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ও ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল মুসায়লামা।
ক. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. ‘সজ্ঞানে না জানলেও তারা একাট্টা, পথ তাদের এক’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. স্বলিখিত বাণীকে ঐশীবাণী হিসেবে প্রচার করার সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন ঘটনার মিল আছে? আলোচনা কর।
ঘ. ‘উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার যে প্রচেষ্টা তাতে মজিদ ও মুসায়লামা এক ও অভিন্ন’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৯। দুখিরাম ও ছিদাম দুই ভাই। সকালে দা হাতে নিয়ে যখন জন খাটতে বের হয়, তখন তাদের দুই স্ত্রীর নিত্য কলহ দেখে পাড়া-প্রতিবেশীদের মতো তারা দুই ভাইও অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বড় জা রাধা, ছোট জা চন্দরা। বড় বউ ছিল অত্যন্ত এলোমেলো, অগোছালো। মাথার কাপড়, কোলের শিশু, ঘরকন্নার কাজ কিছুই সে সামলাতে পারত না। হাতে বিশেষ একটা কিছু কাজও নেই, অথচ কোনো কালে সে অবসর করে উঠতে পারে না। আর ছোট জা চন্দরার বয়স সতেরো কি আঠারো। মুখখানি হৃষ্টপুষ্ট, গোলগাল শরীরটি অনতিদীর্ঘ, আঁটসাঁট। পৃথিবীর সব বিষয়েই তার একটা কৌতুক ও কৌতূহল আছে; পাড়ায় গল্প করতে যেতে ভালোবাসে এবং ঘাটে যেতে-আসতে দুই আঙুল দিয়ে ঘোমটা ঈষৎ ফাঁক করে উজ্জ্বল চঞ্চল ঘনকৃষ্ণ চোখ দুটি দিয়ে পথের মধ্যে যা কিছু দেখার আছে সব এক নজর দেখে নেয়।
রবীন্দ্রনাথের ‘শাস্তি’ গল্প অবলম্বনে
ক. ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
খ. ‘বিশ্বাসের পাথরে যেন খোদাই সে চোখ।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দুই নারী চরিত্র দুই জার সম্পর্কের সঙ্গে রহিমা ও জমিলা দুই সতীনের বৈসাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকের রহিমা বড় জা রাধার বিপরীত চরিত্র হলেও জমিলা চরিত্রটি ছোট জা চন্দরার অনুরূপ’—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। [চলবে]