মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

আরহাম উল হক

(পূর্ব প্রকাশের পর)

খ অংশ : কবিতা

২.         ক. শিশুরা নীল আকাশে রং কুড়িয়ে বেড়ায়।

            খ. কবি আহসান হাবীব ‘আলোর পাখি’ বলতে সূর্যকে বুঝিয়েছেন।

            কবি আহসান হাবীব তাঁর ‘মেলা’ কবিতায় প্রকৃতি রাজ্যের নানা মেলা যেমন—ফুলের মেলা, গাছে গাছে পাখির মেলা, আকাশজুড়ে তারার মেলা, সকালে রঙের মেলা ও সাত সাগরে ঢেউয়ের মেলার কথা বলেছেন। রাতের আকাশে তারকারাজি যে দীপ জ্বেলে দেয়, তেমনি প্রতিদিন সকালে সূর্য যেন আলোর পাখি হয়ে তা সমস্ত প্রকৃতি রাজ্যে ছড়িয়ে দেয়।

            গ. বাংলা শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার প্রকৃতি জগতের চিত্রটি ফুটে উঠেছে।

            ‘মেলা’ কবিতার কবি যে প্রকৃতিকে এনেছেন, তাতে রয়েছে ফুল, পাখি, আকাশ, তারা, সূর্য, সাগর সবই। পৃথিবীর চারদিকে যদি আমরা দৃষ্টি দিই, তবে দেখতে পাই বাগানে নানারকম ফুলের মেলা, গাছে গাছে পাখির মেলা, রাতের আকাশজুড়ে তারকারাজির মেলা, রোজ সকালে সূর্যের আলোয় নানা রঙের মেলা আর সাত সাগরে অসংখ্য মেলা। এসব নিয়েই যেন প্রকৃতি রাজ্য এক মেলা বসিয়েছে।

            এ সম্পর্কে উদ্দীপকের বাংলা শিক্ষক স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বলেন, একাত্তর সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা যে বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ড পেয়েছি তার আকাশ-বাতাস মুক্ত, আর ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় এই দেশ। উদ্দীপকের এই দিকটিই ‘মেলা’ কবিতার উপর্যুক্ত বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

            ঘ. প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে ‘মেলা’ কবিতার মূল সুর মানুষের মধ্যে সমতার চেতনা জাগ্রত করার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

            ‘মেলা’ কবিতায় কবি বলেছেন যে প্রকৃতি জগতের মেলার মতো পৃথিবীর শিশু-কিশোরদের রয়েছে একটা আলাদা জগৎ। এটিও একটি মেলার মতো। আকাশের নীলের মধ্যে যে উদারতা রয়েছে—তার সবই পেয়েছে শিশু-কিশোররা। প্রতিদিন আকাশ নিংড়ে যে রোদ ওঠে, সেখান থেকে তারা নেয় জীবনের উত্তাপ, সাত-সাগরের বুক থেকে তারা নেয় ভালোবাসার ঢেউ। এই নবীন প্রাণের আশার আলো আবার তারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়। কচি-সবুজ ভাই-বোনদের হাসি-খুশির মধ্যে লাখ লাখ সবুজ মনের স্নেহ-প্রীতির প্রকাশ ঘটেছে, দেশ-কালের সীমানা ভেঙে তারা অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে গড়তে চাইছে একটি সুন্দর জগৎ, সাজানো বাগানের মতো সুন্দর পৃথিবী। এ পৃথিবী হবে সব মানুষের জন্য একটা অভিন্ন পৃথিবী।

এ সম্পর্কে উদ্দীপকের প্রধান শিক্ষক মহোদয় বলেন যে আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ, জাতি ও সারা বিশ্বের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা।

সর্বশেষ খবর