গরবিনী মা জননী
সিকান্দার আবু জাফর
সৃজনশীল প্রশ্ন
উদ্দীপক-১ :
মাগো ভাবনা কেন
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলেতবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি,
তোমার ভয় নেই মা, আমরা
প্রতিবাদ করতে জানি।
ক) সিকান্দার আবু জাফর রচিত বিখ্যাত নাটকের নাম কী?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর রচিত বিখ্যাত নাটকের নাম সিরাজউদ্দৌলা।
খ) বাংলা মাকে পুণ্যবতী ও ভাগ্যবতী বলা হয়েছে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলা মায়ের সন্তানরা যে কোনো দুর্বিপাক থেকে মাকে রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট থাকে বলে বাংলা মাকে পুণ্যবতী ও ভাগ্যবতী বলা হয়েছে।
সিকান্দার আবু জাফর রচিত ‘গরবিনী মা জননী’ কবিতার বাংলা মায়ের সন্তানরা মাকে রক্ষা করার জন্য শত কষ্ট-আঘাত সহ্য করে। কোনো অন্যায়-অবিচার-অত্যাচারকে তারা মেনে নিতে পারে না। সন্তানের এই সাহসিকতা দেশমাতাকে গর্বিত করে। এমন সাহসী সন্তান বুকে ধারণ করার জন্য তাকে পুণ্যবতী ও ভাগ্যবতী বলা হয়েছে।
গ) উদ্দীপকটি ‘গরবিনী মা জননী’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকটি ‘গরবিনী মা জননী’ কবিতার বাঙালি সন্তানের সাহসিকতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘গরবিনী মা জননী’ কবিতার বাংলা মায়ের কামার, কুমার, জেলে, চাষি, বাউল, মাঝি-এসব পেশাজীবী সন্তান মায়ের কোলজুড়ে থেকে মাকে আগলে রাখে। মাকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনে তাঁরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। দেশমাতৃকাকে সব দুঃশাসন থেকে রক্ষার জন্য মায়ের সন্তানরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁরা যেকোনো দুঃসময়ে জেল-জুলুম ও ফাঁসির দন্ড মাথায় নিয়ে নিজের সুখ-শান্তি ও আলস্য পরিহার করে দেশের জন্য আত্মত্যাগ করতে দ্বিধা করে না।
উদ্দীপকের বাংলা মায়ের শান্তিপ্রিয় ছেলেরাও শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ ও প্রতিবাদ করতে সব সময়ই প্রস্তুত থাকে। উদ্দীপকের এই দিকটি ‘গরবিনী মা জননী’ কবিতার উপর্যুক্ত বক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। (চলবে)