শিরোনাম
সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : আইয়ুব বাচ্চু

গানটা এখনো প্রাণের তাগিদেই করি

আলী আফতাব

গানটা এখনো প্রাণের তাগিদেই করি

সম্প্রতি জিপি মিউজিক আইকন সিরিজ কনসার্টে দর্শক মাতালেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আইয়ু্ব বাচ্চু। দেশীয় সংগীতের আইকনদের নিয়ে গ্রামীণফোন শুরু করছে ‘জিপি মিউজিক আইকন সিরিজ কনসার্ট’। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ—

 

কেমন লেগেছে এমন এতটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে পেরে?

দীর্ঘ সময়ে সংগীতের নানা আয়োজনে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। তবে গ্রামীণফোনের এই উদ্যোগটি অন্য রকম লেগেছে। এখানে জীবনের গল্প অ্যালবামসহ বেশকিছু পুরনো গান করেছি। সকলে বেশ পছন্দ করেছে। জিপির নিজস্ব অ্যাপসে আমার নতুন অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতারা ওয়েবসাইটে গিয়ে শুনতে পারবেন।

ওয়েবসাইটে গান প্রকাশের বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? 

এখন সিডির যুগও শেষ হয়ে আসছে। ইন্টারনেট থেকে নিজের পছন্দমতো গান শুনতে চান শ্রোতারা। বাহিরের সব দেশে এর প্রচলন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। শুধু আমরাই পিছিয়ে আছি কিছুটা। কারণ আমাদের দেশেও নানা নামে নানা ধরনের ওয়েবসাইট আছে। যেখানে সকালে অ্যালবাম প্রকাশ করছে রাতের মধ্যে তা পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা এমন ধরনের ওয়েবসাইট চাই না। যেখানে শিল্পীরা ক্ষতি গ্রস্ত হয়। কিন্তু  গ্রামীণের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই আমি।

এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী আছে?

সততা, যাদের মধ্যে সততা আছে তারা এই অসৎ কাজটি করতে পারবে না। আমাদের মেনে নিতে হবে যে, গানের স্রষ্টাই তার গানের মালিক। এটা মেনে নিয়েই কোম্পানিগুলোকে কাজ করতে হবে। পৃথিবী এগিয়ে যায় সামনের দিকে। সিডি এখন পুরনো হয়ে গেছে, যেহেতু পেনড্রাইভ চেনানো হয়ে গেছে। পেনড্রাইভটা একটা অবলম্বন হিসেবে ধরা হতো, যেটাতে চুরি করা যায়। তাইলে সেটা কি শিল্পীরা করেছিল? সেটা কি শ্রোতারা করেছিল? যারা গান পাগল মানুষ তারা করেছিল? না, মোটেও না...! এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে পাইরেসি বন্ধ করবে কারা? পাইরেসিটা তারাই বন্ধ করবে, যারা শুরু করেছিল।

সরকার এই ব্যাপারে কি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে?

আমরা কথায় কথায় সরকার কিংবা সরকারকে দোষ দিচ্ছি। নিজের দিকে একবারও তাকাই না। নিজের দিকে একবারও তাকিয়ে বলি না যে, হ্যাঁ এটা আমার দোষ। এটা আমার ক্ষতি হয়েছে, আমার দ্বারা পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই আত্মশুদ্ধি, এই আত্মোপলব্ধি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের না আসবে কারও কারও মনে, ততদিন পর্যন্ত এখানে সরকার কিছু করতে পারবে না। আর এসব করণে সংগীত জগৎ বিপর্যস্ত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বর্তমানে প্রচুর মেধাবী ব্যান্ড দল আসছে, তারা কেমন করছে বলে আপনি মনে করেন?

এই কথাটা আমি বিশ্বাস করি। বর্তমানে আমাদের  মধ্যে বেশ কিছু মেধাবী ব্যান্ড দল আছে। এরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। কিন্তু সব সময় একটা অভিযোগ থাকে যে ‘তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা কেন আপনাদের মতন হচ্ছে না? আরে তারা আমাদের মতো কেন হতে যাবে। তারা এই যুগের সন্তান। ওদের এ যুগের মতো করে দিতে হবে। এবং এ যুগের যারা ব্যান্ড আসছে, সবাই খুব ভালো করছে। তাদের নিজস্ব স্টাইলে ভালো করছে।

সর্বশেষ খবর