শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
হুমায়ূন আহমেদের কৃষ্ণপক্ষ

অরু আর মুহিব আসছেন

শোবিজ প্রতিবেদক

অরু আর মুহিব আসছেন

অরু আর মুহিবকে ঘিরে এগিয়েছে ‘কৃষ্ণপক্ষ’র আয়োজন। হুমায়ূন আহমেদের হূদয় ছোঁয়া এক প্রেমের উপন্যাস এই ‘কৃষ্ণপক্ষ’। এই উপন্যাসকে লেখক নিজেই তার অত্যন্ত প্রিয় লেখা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আজ এই কলমের জাদুকর বসত গড়েছেন না ফেরার দেশে। তার প্রিয় উপন্যাসকে সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী করলেন প্রয়াতের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। এরই মধ্যে সেন্সর বোর্ডের দেয়াল অতিক্রম করেছে ছবিটি। ২৬ ফেব্রুয়ারি এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

ছবিতে অরু আর মুহিবের চরিত্র জীবন্ত করেছেন মাহি ও রিয়াজ। মূলত এই  জীবনের জটিল ঘানি টানা নিয়ে আলো আঁধারিতে এগিয়েছে গল্প।

অরু ও মুহিব দুই তরুণ তরুণী। তাদের হূদয়জুড়ে আছে অকৃত্রিম ভালোলাগা ও ভালোবাসা। তাইতো একে অপরের কাছে এসেছে প্রকৃতির নিয়মে খুব সহজেই। টুকরো টুকরো আনন্দময় কিছু মুহূর্ত ছিল তাদের জীবনে। সময়ের স্রোতে এগিয়ে গেছে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে। কিন্তু না, তারা সার্থক হতে পারেনি। বিবাহিত জীবন শুরু করেও পারেনি সুখময় দাম্পত্য জীবন গড়ে নিতে। অকস্মাৎ এক দুর্ঘটনায় মুহিব বিদায় নেয় এই মায়াময় পৃথিবী থেকে। স্বভাবতই অরুর জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ বিচ্ছিন্নতা। অরুকে তবুও বাঁচতে হবে। বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে পারিবারিক নির্দেশে সে আবার ঘর বাঁধে। সময়ও দ্রুত এগিয়ে চলে। সে হয় জননী। ২৫ বছর পর তার প্রথম মেয়ের বিয়েতে দুই যুগ পূর্বের নির্দিষ্ট স্মৃতি হঠাৎ তাকে অসুস্থ করে ফেলল ছোট মেয়ে কান্তার একটি কথায়— ‘আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবি আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে’। অরুর চোখে কষ্টের জল। তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। পাঠক অরুর জীবন সংগ্রামের পরের পর্ব না হয় বড় পর্দাতেই দেখবেন। গল্পটি হূদয় সংহার করবে এটি নিশ্চিত। এর আগে বইয়ের পাতায় চোখ রাখতে গিয়ে পাঠকের চোখ ভিজেছে কষ্টের অশ্রুধারায়। এবার সেলুলয়েডের ফিতায় জীবন্ত অরু আর মুহিবের দুঃখ দেখতে গিয়ে দর্শকের মনে কষ্টের ঝড় উঠবে নিঃসন্দেহে। মাহি বলেন, হুমায়ূন স্যারের প্রায় সব রচনা আমার পড়া। তার নির্মিত প্রতিটি ছবিও দেখেছি। প্রাণপণ চেষ্টা করেছি চরিত্রের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হতে। রিয়াজ বলেন, স্যারের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে স্যারের শূন্যতা যেমন আমাকে নিঃশব্দে কাঁদিয়েছে তেমনি আবারও স্যারের প্রিয় রচনার ভাগিদার হতে পেরে আনন্দের বন্যায়  ভেসেছি।  হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ১৩ নভেম্বর ছবিটি এই প্রয়াত মানুষটিকে উপহার দিতে চেয়েছিলেন নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। কিন্তু গল্পের মতোই নির্মাণের মাঝপথে মুহিবের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুহিব চরিত্র রূপায়ণকারী রিয়াজ। হুমায়ূন আহমেদের পাঠক আর দর্শকরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বড় পর্দায় প্রিয় মানুষটির ‘কৃষ্ণপক্ষ’ দেখতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর