দিল্লি-মুম্বাই, ব্যাংকক থেকে মিসর, এমনকি নিউইয়র্কের মতো শহরেও র‌্যাম্পের স্টেজ কাঁপিয়েছেন পিয়া। পাশাপাশি নামি-দামি বেশ কয়েকটি বিশ্ব কাঁপানো ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও জায়গা পেয়েছেন—

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি লাইফ স্টাইল ব্র্যান্ডের শুট করলাম। এ ছাড়া ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ট্র্যাসেমি এবং একটি ট্রাভেল কোম্পানির সঙ্গে। এর আগে কনভোকেশনে যোগ দিয়ে লন্ডন থেকে ফিরলাম। যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অ্যানের কাছ থেকে এলসিএলএস সার্টিফিকেট নিলাম। তাই কিছুটা উচ্ছ্বসিতও বটে।

র‌্যাম্প, ছোট পর্দা ও বড় পর্দা— এই তিন মাধ্যমেই কাজ করেছেন, কোনটাতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

তিন মাধ্যমে কাজ করলেও প্রত্যেকটিরই নিজস্ব স্বকীয়তা রয়েছে। কোনোটাকেই খাটো বা ছোট করার উপায় নেই। তারপরও বলব মডেলিং আমার প্যাশন এবং ভালো লাগার জায়গা। অন্যদিকে, সিনেমা স্বপ্নের জায়গা, আর নাটক হলো যেখানে অনেক আপন বিষয় আছে বলে মনে হয়।

মডেলিং নিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিল—

মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক বেশি বলে মনে করি। তবে প্রত্যাশা রয়েছে, যেন বিশ্বের আরও অনেক টপ ক্লাস ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে পারি।

বিশ্বমানের মডেল ম্যানেজমেন্ট করতে করণীয় কী?

এ ধরনের এজেন্সি করার আগে ভাবতে হবে আমাদের মার্কেটটা কত বড়। যদি মার্কেটটা বিশাল পরিসরে হয়ে থাকে তাহলে এক রকম সিদ্ধান্ত, আর মার্কেট ছোট হলে অন্য সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ পরিধি বুঝে এ ধরনের ম্যানেজমেন্ট করা উচিত।

র‌্যাম্প নিয়ে এখনো অনেক পরিবার নাক সিটকায়, এ ধারণা পাল্টানো যায় কীভাবে?

এ কথাটা বরাবরই আমার কানে আসে। কমবেশি সবক্ষেত্রেই পিছুটান থাকবে, থাকবে সমাজের অনেক বাধা-বিপত্তি। আবার তার মানে এই নয় যে, উদার মানে উদ্দাম নৃত্য। পরিবারকে এ ভুল ভাঙাতে হবে। আমার পরিবারও প্রথম দিকে মেনে নেয়নি। নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেই পরিবারের এ ভুল ভাঙাতে হবে।

বাংলাদেশের মডেলিং জগতকে বিশ্ববাজারে কীভাবে তুলে ধরা যায়?

এগিয়ে আসতে হবে বড় ফ্যাশন হাউসগুলোকে। সমন্বয় করতে হবে এ সংশ্লিষ্ট মডেলদের নিয়ে। হাউস এবং মডেল যখন একযোগে কাজ করবে তখনই পরিবর্তন আসবে। প্রচার মাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে। সিঙ্গেল পারসননির্ভর কোনো প্রোগ্রাম সফল হয় না। এ জন্য প্রয়োজন ফ্যাশন হাউসের  সাপোর্ট তাহলেই পরিধি বাড়বে এ সেক্টরের।