শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মমর অভিনয়ে এক দশক

আলী আফতাব

মমর অভিনয়ে এক দশক

২০০৭ সালে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে মমর যাত্রা শুরু করেন জাকিয়া বারী মম। আর পরিচয়ের জায়গাটা তৈরি করে দেয় ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’। পরিচয় নিয়ে হয়তো তিনি শুরু করেছেন কিন্তু মিডিয়াতে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। ভালো গল্প আর নিজের অভিনয়শৈলী তাকে এনে দিয়েছে তারকা খ্যাতি। প্রথমে নাটক তারপর চলচ্চিত্র, দুই মাধ্যমেই পেয়েছেন বেশ জনপ্রিয়তা। শুধু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নয়, তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বলিউডে। তাই সম্প্রতি বলিউডের একটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে অভিনয় জীবনের পথচলায় এক দর্শক পূর্ণ করেছেন মম। অভিনয় জীবনের শুরুতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দটা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারেননি। এখন বয়স একটু বেড়েছে মমর। পুরস্কারের মর্যাদাও উপলব্ধি করেন হূদয় দিয়ে। তাই মমর আশা যেন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি এই সম্মাননা অর্জন করতে পারেন। সেই আশায় ভালো ভালো কিছু চলচ্চিত্রে কাজও করছেন তিনি। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করে অভিনয় করছেন আপনমনে। ঠিক তেমনি একটি চরিত্র আলতা। অরুন চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আলতাবানু’তে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শেষ করেছেন তানিম রহমান অংশুর ‘স্বপ্নবাড়ি’ চলচ্চিত্রের কাজ। দুটো চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে আছেন আনিসুর রহমান মিলন। ‘আলতাবানু’ প্রসঙ্গে মম

বলেন, ‘এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যা দর্শক এক বসাতেই উপভোগ করবেন। সহজে বলতে গেলে বলা যায় এটি একটি ভালো চলচ্চিত্র। ‘স্বপ্নবাড়ি’ও ঠিক তাই। দুটো চলচ্চিত্র নিয়ে আমি ভীষণ রকম আশাবাদী। আমি চেষ্টা করেছি আমার চরিত্র যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে।’ অভিনয় করতে করতে নির্দেশক হওয়ার স্বপ্ন মনে উঁকি দেয় কী? মৃদু হেসে মম বলেন, ‘আমি এত মেধাবী কেউ নই। আমি খুব স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমাদের এখানে যারা নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন তারা নিঃসন্দেহে অনেক মেধাবী। কারণ তারা এত কম বাজেটের মধ্যে কত চমত্কারভাবে একটি পূর্ণ গল্প দর্শকের সামনে তুলে ধরেন। তাই নির্দেশকদের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। সে সঙ্গে সহমর্মিতাও রয়েছে। কারণ তারা কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে স্বল্প বাজেটে নাটক নির্মাণ করেন। সত্যিই এ এক অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই নির্দেশকদের আমি স্যালুট জানাই।’ অভিনয়ের পথচলায় দীর্ঘ এক দশক পূর্ণ প্রসঙ্গে মম বলেন, ‘দর্শকের চোখে আমার জন্য আমি যে ভালোবাসা দেখেছি, যে সম্মান দেখেছি এর চেয়ে বড় অর্জন, প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না। এটাই এই জীবনের বড় সার্থকতা। এভাবে আমি আরও বহু বছর কাজ করে যেতে চাই দর্শকের ভালোবাসা নিয়েই।’ ব্যক্তিজীবন কেমন যাচ্ছে আপনার? ‘ব্যক্তিজীবনই তো নেই আমার। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুটিংয়ে যাই, শুটিং শেষে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। অভিনয় জীবনটাই আমি দারুণভাবে উপভোগ করছি। এর বাইরে আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। একজন সাধারণ বাঙালি মেয়ে আমি। খুব সাদামাটা জীবন আমার।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর