মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

চলচ্চিত্রের কাজই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে

পান্থ আফজাল

চলচ্চিত্রের কাজই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে

দুর্দান্ত অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ। মঞ্চ, টিভিনাটক ও চলচ্চিত্র-তিন ক্ষেত্রেই তার সমানতালে বিচরণ। বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান গড়েছেন। কিছুদিন আগে দীপঙ্কর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রে পুলিশ অফিসারের মতো দাপুটে চরিত্রে অভিনয় দিয়ে সবার নজর কেড়েছেন।

 

ঢাকা অ্যাটাকের সাফল্যে সাড়া পাচ্ছেন কেমন?

এটা আসলে বলে বুঝাতে পারব না। প্রতিদিন ফেসবুকে, হোয়াটস আপ, খুদে বার্তায়, মুঠোফোনে, রাস্তাঘাটে শত শত শুভেচ্ছা পাচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছিল সাফল্য পাব কিন্তু এত সাফল্য পাব তা বুঝতে পারিনি। কাজটি করতে পেরে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট।

 

এই সাফল্যের রহস্য কী?

এই ছবির সফলতার রহস্য হচ্ছে ছবির গল্প। বলা যায়, গল্পই এই ছবির মূল নায়ক। তবে আমি বলব, এই সাফল্য শুধু আমাদের নয়, সারা দেশের সিনেমাপ্রেমীদের। তারা হলে গিয়ে ছবি না দেখলে সফলতা পাওয়া যেত না। যখন ছবির গল্প শুনেছিলাম তখনই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

 

ছবিতে কোনো ত্রুটি চোখে পড়েছে কী?

একজন দর্শক হিসেবে দেখলে ছবিতে ত্রুটি হচ্ছে এখানে মাহি সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই সাংবাদিক চরিত্রটির কোনো প্রয়োজন ছিল না। তা ছাড়া নায়ক শুভর সঙ্গে তার ক্যামেস্ট্রি ফুটতে সেভাবে দেখা যাইনি। এই দুটো দিক বাদ দিলে বাকি সবকিছুই বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে ঢাকা অ্যাটাক উপযুক্ত।

 

নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে বাড়তি কোনো চাপ ছিল?

আমি কোনো চাপ নেইনি। আমাকে নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন চরিত্রটি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি ক্যারেক্টারে ঢুকে পড়ি। কে কী করছে সেটা দেখিনি। নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছি। নিজেকে গুরুত্ব দিয়েছি।

 

কখনো খল চরিত্রে আবার কখনো ইতিবাচক চরিত্রে ...

অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। মঞ্চ, টেলিভিশন কিংবা চলচ্চিত্রে চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনতে চাই সবসময়। গল্পের সঙ্গে চরিত্রটা কতটুকু একাত্মভাবে মিশে আছে, দর্শক সেই বিষয়টাকে প্রাধান্য দেয় সবসময়। তবে, আমার কাছে খলচরিত্র অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। খলচরিত্রে নিজেকে ভেঙে ফেলার সুযোগ অনেক বেশি থাকে।

 

অনেকে বলে আপনি হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় থেকে...

অনুপ্রাণিত। হা...হা..আমি কেন, আমরা সবাই তার অভিনয় দিয়ে অবশ্যই অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই প্রজন্মের এমন কোনো অভিনয় শিল্পী পাবেন না যারা হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হন নাই। তবে আমরা এই গুণী অভিনেতার সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি।

 

সামনে ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আগামীতে চারটি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। ছবিগুলো হচ্ছে আদি, রাগী, দাগ ও আসমানি। এই চারটি ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী। তানিম রহমান অংশুর ‘আদি’ চলচ্চিত্র আশা করি সবার ভালো লাগবে। সাখাওয়াত হোসেনের ’আসমানি’ ও খারাপ হয়নি। পান্থ শাহরিয়ারের রচনা এবং পরিচালনায় তারেক সিকদারের ’দাগ’ এবং জসীম আহমেদের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের কাজ করছি। টেলিভিশনের কাজ করেছি। আরও কিছু কাজ করার কথা চলছে।

    

সর্বশেষ খবর