শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শশীর সেই প্রেম কাহিনী..

শোবিজ ডেস্ক

শশীর সেই প্রেম কাহিনী..

একটি যুগ, ক্রেজ আর অনুপ্রেরণার অবসান ঘটল। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বড় একটা অংশ ফাঁকা করে চলে গেছেন কীর্তিমান অভিনেতা শশী কাপুর। তার চলে যাওয়ার মাধ্যমে একটা প্রজন্মের জ্বলজ্বলে স্মৃতি যেন ফিকে হয়ে গেল। ছয় দশকের ক্যারিয়ারের ইন্দ্রজালে সম্মোহিত করে রেখেছিলেন সবাইকে। শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশের তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল। আধুনিক ভারত প্রেমগাথা লেখা হলে শশী কাপুরের জন্য একটা অধ্যায় থাকতে বাধ্য। মুম্বাই বায়োস্কোপের মুকুটহীন সম্রাট পৃথ্বীরাজ কাপুরের তৃতীয় ছেলে শশী। বয়স মাত্র ১৮। ১৯৫৬ সালে শশী কলকাতায় আসেন। বাবার গ্রুপ ‘পৃথ্বী থিয়েটার’-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেজ ম্যানেজারের দায়িত্ব তখন তার কাঁধে। ওই সময়ে ব্রিটিশ নাট্যব্যক্তিত্ব জিওফ্রে কেন্ডালের শেক্সপিয়রিয়ান নাট্যদলটিও কলকাতায়। জিওফ্রে তনয়া সুন্দরী জেনিফারের বয়স তখন ২৩। ওই বছর কলকাতায় দেখা হয়ে যায় দুজনের। শশী প্রেমে পড়েন সাত সাগর পাড়ের স্বর্ণকেশীর। জেনিফারও হার মানেন ভারতীয় যুবকের প্রেমের কাছে। সদর স্ট্রিটের সে সময়কার হোটেল ফেয়ার লন ছিল তাদের সেই প্রেমের সাক্ষী। শশী-জেনিফারের দেখা হতো ওই হোটেলে। হোটেলের লবিতে, বারান্দায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তাদের স্মৃতি। আজও ফেয়ার লনের পাব পেরিয়ে সিঁড়িতে ওঠার মুখে জ্বলজ্বল করছে শশী-জেনিফারের যুগলবন্দী ছবি।  রক্ষণশীল কাপুর পরিবার সহজে মেনে নেয়নি শশী-জেনিফারের প্রেম। জেনিফার একে তো বিদেশিনী, তার ওপর বয়সে শশীর চেয়ে পাঁচ বছরের বড়। কিন্তু সব বাধাকে জয় করে শশী-জেনিফারের প্রেম। ১৯৫৮ সালে বিয়ে হয় তাদের। কলকাতা আজও মনে করতে পারে সদর স্ট্রিটের ফেয়ার লন হোটেলের সামনে এসে দাঁড়ানো সেই ট্যাক্সিকে। শিখ ড্রাইভারের হাতে ভাড়া গুঁজে দিয়ে ১৮ বছরের এক ছটফটে তরুণ উঠে যাচ্ছে ভিক্টোরীয় সিঁড়ির দিকে। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে সামনে তাকিয়ে দেখছে তুলনাহীনা

কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। শশী-জেনিফারের সেই প্রেম-সাক্ষাৎ আজও কলকাতার মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর