আবারও ভরপুর অ্যাকশন আর রোমান্স নিয়ে পর্দা কাঁপাচ্ছে সালমান-ক্যাটরিনা জুটি। সালমান আর ক্যাটরিনার রোমান্স শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে কবির খানের ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে। টাইগার জিন্দা হ্যায় ছবিতে কাজ করতে গিয়ে এই দুই হার্টথ্রব অভিনয় শিল্পীকে কম ঘাম ঝরাতে হয়নি। ছবির মতো সুন্দর দেশ অস্ট্রিয়ায় ‘এক থা টাইগারে’র সিক্যুয়েল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর শুটিং হয়েছে। ছবির মতো সুন্দর হলেও তাদের শুটিং ইউনিট যেখানে তাঁবু গেড়েছে সেখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড শীতে শুটিং করেছেন সালমান-ক্যাটরিনা। এই বৈরী আবহাওয়াকে সঙ্গী করেই সেখানে দুজন সেরে নিয়েছিলেন তাদের প্রথম গানের চিত্রায়ণ। আর গানটি সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়ে শ্রোতা-দর্শকের মনে ভালো লাগার ঝড় তোলে। শুধু কী গানে ঝড় ওঠা? মোটেও না। ছবির ট্রেলার এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, তা বাহুবলি-২ আর পদ্মাবতীর ট্রেলারকে ছাপিয়ে এই দুই ছবির ট্রেলারের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ছবির প্রধান চরিত্র সালমান খান ও ক্যাটরিনাকে নিয়ে রোমান্টিক ধাঁচের গানটির শিরোনাম ‘দিল দিয়ান গালান’। গানটির কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন বৈভবি মার্চেন্ট। ছবিটির যে অংশ গোল্ডেন রুফে শুটিং হলো সেটি ছবিটির অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এবং গান চিত্রায়ণে যশরাজ ফিল্মসের যে সুখ্যাতি তা বজায় রাখার পাশাপাশি পর্দায় দর্শকদের জন্য মনে রাখার মতো দৃষ্টিনন্দন শট রয়েছে। শুটিংয়ের সেট থেকে একটি সূত্র জানিয়েছিল, টাইগার জিন্দা হ্যায় চলচ্চিত্রের শুটিং ইউনিট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেষ্টিত টাইরলে শুটিং করেছে। সালমান ও ক্যাটরিনাকে সঙ্গে নিয়ে শুটিং ইউনিটের সদস্যরা অস্ট্রিয়ার ঐতিহাসিক, মনোরম ও দৃষ্টিনন্দন একটি শহরে গানটির দৃশ্যধারণের কাজ সম্পন্ন করে। গোল্ডেন রুফ বা সোনালি ছাদ নামে পরিচিতি এ শহরটি হলিউডের বিখ্যাত বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য সমাদৃত। বন্ড সিরিজের ‘কোয়ান্টাম অব সল্যাস’ ও ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ বন্ড মুভি ‘স্পেকটরে’র কিছু অংশের শুটিং হয়েছে এখানেই। এদিকে গতকাল ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়ে দর্শক মাতাল করেছে। আর দর্শকের এই মাতলামি সালমান-ক্যাটরিনাকে ঘিরেই ঘূর্ণায়মান হয়েছে। টাইগার সালমান নিজেকে শুধু অ্যাকশনের ঘরে আবদ্ধ রাখেননি। ক্যাটের বাহুতে নিজেকে সঁপে দিয়ে ভালোবাসার রংধনু এঁকে দিয়েছেন দর্শকের মনের অতলে। সালমান ভক্তরা এখন উৎসব আমেজে মেতেছে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ নিয়ে।

এই নায়কের ছবি মানেই বাড়তি আনন্দ পাওয়া, খুশিতে মন টইটম্বুর হয়ে ওঠা। কারণ সালমানের ছবি হলো পরিপূর্ণ বিনোদনের ঝাঁপি। যেটি খুলতেই চোখে-মুখে এসে লাগে আনন্দের সাতরঙে আঁকা রংধনু। টাইগার জিন্দা হ্যায় আরও একবার এ কথা প্রমাণ করে দিল।