সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
নতুন প্রজেক্ট, নতুন নাম

এফডিসিতে সিনেপ্লেক্স, শপিং মল ও হোটেল

আলাউদ্দীন মাজিদ

এফডিসিতে সিনেপ্লেক্স, শপিং মল ও হোটেল

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা-বিএফডিসির নতুন নাম হবে বিএফডিসি কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সে একাধিক সিনেপ্লেক্স, তিন তারকা হোটেল আর শপিং মলসহ চলচ্চিত্র নির্মাণের অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকছে। বিদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতারাও এখানে ছবির কাজ করতে পারবেন। ৯৪ কাঠা জমির ওপর নির্মিত হবে ১২ তলা ভবনের নতুন এই কমপ্লেক্স। আর এই প্রকল্পের জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

এফডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে এফডিসিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তৎকালীন এমডির মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়। আর ওই বৈঠকেই এফডিসিকে আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে এফডিসিকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করতে আর দেশীয় চলচ্চিত্রকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রূপ দিতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ওই বৈঠকে এফডিসির মানোন্নয়ন ছাড়াও দেশে ২০০ প্রেক্ষাগৃহকে ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, দেশীয় চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নের জন্যই একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আর তখনই বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণের নকশা তৈরি করা হয়। কথা ছিল ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী এফডিসিতে এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন। পরে নানা জটিলতায় তা আর হয়নি। নকশায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে— একটি অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স, চলচ্চিত্রবিষয়ক পাঠাগার, ক্যামেরা লেন্সসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিক্রির ব্যবস্থা, কমপক্ষে দুটি সিনেপ্লেক্স, তিনটি শুটিং ফ্লোর, চারটি প্রদর্শনী কক্ষ নিয়ে তৈরি একটি মাল্টিপ্লেক্স, শিশুদের বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, বিশেষ শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, ফুড কর্নার এবং তিনটি  বেজমেন্টস।

১২ তলা ভবনের তিন তলাজুড়ে একটি তিন তারকা আবাসিক হোটেল তৈরি করা হবে। বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলের শুটিংয়ের জন্য স্টুডিও রুমও থাকবে এ ভবনে। ছাদে থাকবে জিমনেশিয়াম, সুইমিং পুল ও রেস্তোরাঁ। এই কমপ্লেক্স নির্মাণ হবে এফডিসির বর্তমান ৩ ও ৪ নম্বর শুটিং ফ্লোর, পরিত্যক্ত দুটি সম্পাদনা ভবন ও পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায়। এপ্রিল মাস থেকে এই কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রকল্প প্রণয়নকারী বিএফডিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী  মোহাম্মদ আইয়ুব আলী। চলতি সপ্তাহে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে। দুই মাস আগে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পটি প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে কমপক্ষে তিন বছর লাগবে। এফডিসির এমডি আমির হোসেন বলেন, একনেক বৈঠকের পর মাস-দুয়েকের মধ্যেই প্রকল্পটি পাস হয়ে যাবে। এই প্রকল্প থেকে অর্জিত বার্ষিক আয় এফডিসির খাতেই জমা হবে।

এফডিসির এমডি আরও জানান, ‘বিএফডিসি কমপ্লেক্স’ ও এফডিসির আওতাভুক্ত গাজীপুরের ‘বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি’ চালু হলে এবং একই সঙ্গে চলতি বছর এফডিসির ‘আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ছবি নির্মাণের জন্য নির্মাতাদের আর দেশের বাইরে যেতে হবে না, বরং বিদেশিরা এখানে এসে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন।

 

 

সর্বশেষ খবর