দিনগুলো বেশ ফুরফুরে কাটছে মাহিয়া মাহির। একদিকে ছবির কাজ নিয়ে টানা ব্যস্ততা, অন্যদিকে তার অভিনীত ছবি মুক্তি। দুই মিলিয়ে এই চঞ্চলা-চপলা মেয়েটির বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। মাহি যখন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তখন অনেকে কানাকানি করতে থাকেন এই বলে—রুপালি পর্দায় বুঝি মাহির ঝলকানি শেষ। এবার আটপৌরে বাঙালি বধূর ঠিকানা হলো সংসার কন্নার চার দেয়ালের মাঝে। স্বামী, সংসার আর রান্নাঘরের চুলো জ্বালানো নিয়ে কাটবে নববধূ মাহির দিনকাল। না, শেষ পর্যন্ত সেই গুঞ্জন আর ধোপে টিকল না। একপাশে সংসার আরেকপাশে রুপালি দুনিয়া। দুই আকাশেই সফেদ মেঘের ভেলায় অবিরাম ভেসে চলেছেন এই চঞ্চলা-চপলা হরিণী। গতকাল বড় পর্দা আলোকিত করল মাহির ছবি ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’। রোমান্টিক এই ছবিটি দিয়ে দর্শকদের প্রেমের জোয়ারে ভাসাচ্ছেন ঢালিউডের ভালোবাসার নায়িকা মাহি। সর্বশেষ গত বছর এই অগ্নিকন্যার অ্যাকশন ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এখনো দর্শকের চোখে মাদকতা জড়িয়ে রেখেছে। একদিকে রোমাঞ্চ অন্যদিকে অ্যাকশন। মানে ভালোবাসার রঙ আর অগ্নি। দুই রূপেই সফলতা দেখালেন মাহি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহে যেমন বড় পর্দায় এলো তার ভালোবাসার ছবি ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’। ঠিক তেমনি এখন তিনি চুটিয়ে কাজ করছেন জনপ্রিয় এবং জাঁদরেল অভিনেতা ডি এ তায়েবের সঙ্গে ‘অন্ধকার জগৎ’ ছবিতে। বাস্তব জীবনে ডিবি কর্মকর্তা ডি এ তায়েবকে এ ছবিতে মাহি পেয়েছেন বিপরীত চরিত্রে। মানে ডি এ তায়েব এ ছবিতে একজন সন্ত্রাসীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। আর চঞ্চলা ভালোবাসার কন্যা মাহি হয়ে উঠেছেন একজন ডিবি কর্মকর্তা। তাই এ দুই দর্শকপ্রিয় অভিনয় শিল্পীর টইটম্বুর ব্যতিক্রমী রসায়ন দেখতে দর্শক এখন অপেক্ষায় আছেন অন্ধকার জগতের।

ভাগ্যদেবী যেন মাহির জন্য বরমালা নিয়েই অপেক্ষা করছিল।

অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকাই বায়োস্কোপের শীর্ষ আসনে উপবিষ্ট হন মাহি নামের বসন্তকন্যা। ঢালিউডের বর্তমান মুভি মোগল আবদুল আজিজের জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ঢালিউডে ‘ভালোবাসার রঙ’ দিয়ে যাত্রা শুরু করা নায়িকা মাহি বলেন, চলতি বছর হবে শুধুই আমার। এ বছর আমার অভিনীত ছবির মধ্যে আরও মুক্তি পাবে— ‘অন্ধকার জগৎ’, ‘মনে রেখো’, ‘তুই শুধু আমার’, ‘জান্নাত’, ‘অবতার’ এবং ‘প্রেমের বাঁধন’, ‘আনন্দ অশ্রু’। ছবিগুলোতে দর্শক নানারূপে খুঁজে পাবে আমাকে। বছরজুড়ে নানা বর্ণের কাজ দিয়ে আবারও দর্শকের মনের ঘরে ভালোবাসার ঝড় তুলব। বড় পর্দায় যাত্রার শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি সত্যিকারের অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন ভরাতে, প্রকৃত অভিনেত্রী হয়ে উঠতে। কতটা পারছি দর্শকই তার রায় দেবে। দর্শক এরই মধ্যে একেকটি ছবিতে স্বতন্ত্র মাহিকে খুঁজে পেয়ে নতুনত্বের স্বাদে অবগাহন করেছে। এখন মাহির কাছ থেকে আরও বর্ণিল উপহার পাওয়ার জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।

২০১৬ সালে বিয়ে করে এখন সংসার আর কাজের ভেলায় মহা সুখের ঝরঝরে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছেন ভাগ্যদেবীর বরমাল্য পরা চঞ্চলা-চপলা কন্যা মাহিয়া মাহি।