শিরোনাম
শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বলিউড সেলুলয়েডে বন্ধুত্ব

বলিউড সেলুলয়েডে বন্ধুত্ব

প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার বিশ্বজুড়ে বন্ধু দিবস পালন করা হয়। আর বন্ধুত্ব নিয়ে বলিউডেও তৈরি হয়েছে সিনেমা। সিনেমাগুলোর মূল বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বন্ধুদের জন্য আত্মত্যাগ, বন্ধুদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোসহ বেশ কিছু বিষয়। তেমন কিছু বলিউড সিনেমা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন— পান্থ আফজাল

 

দোস্তি

দুই বন্ধুর কাহিনী নিয়ে ১৯৬৪ সালে মুক্তি পায় হিন্দি সিনেমা ‘দোস্তি’। দর্শক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে ছবিটি দেখে। সুশীল কুমার ও সুধীর কুমার নামে দুই কিশোর অভিনয় করেন ছবিটিতে। সত্যেন বোস পরিচালিত এই ছবিটি এখনো বলিউডে বন্ধুত্বের ক্ল্যাসিক ছবি হিসেবে স্বীকৃত। ড. নীহাররঞ্জন গুপ্তর উপন্যাস ‘লালুভুলু’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল ছবিটি। ১৯৬৫ সালে ফিল্মফেয়ার আসরে ছয়টি পুরস্কার জয় করে ‘দোস্তি’।

 

শোলে

‘শোলে’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র জয় ও বীরু নামে দুই বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শোলে’কে বলা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা হিন্দি সিনেমা। জয়-বীরু এখন পর্যন্ত বলিউডে সবচেয়ে জনপ্রিয় বন্ধু জুটি।

 

ইয়ারানা

১৯৮০ সালে মুক্তি পায় অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ইয়ারানা ছবিটি। এতে অমিতাভের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন আমজাদ খান। দুই বন্ধুর মর্মস্পর্শী অনেক ঘটনা নিয়ে গড়িয়েছে এই ছবির গল্প। ছবিটির গান ও গল্প এবং অমিতাভ, আমজাদের অভিনয় এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।

 

কুছ কুছ হোতা হ্যায়

১৯৯৮ সালের সাড়াজাগানো সিনেমা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির মধ্যে রয়েছে একটি সুন্দর বন্ধুত্বের গল্প। শাহরুখ-কাজল জুটি অভিনীত রাহুল-অঞ্জলি চরিত্রটি পরবর্তীতে প্রেমে জড়িয়ে পড়লেও প্রথম জীবনে তারা থাকে একজন আরেকজনের ভালো বন্ধু। এছাড়াও সিনেমা শেষে সালমান খানের আমান চরিত্রটির কথায় শোনা যায় বন্ধুত্বের সুর। বাগদত্তা অঞ্জলিকে তার পুরনো প্রেমিক রাহুলের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আজীবন ভালো বন্ধু থাকার কথা বলেন আমান।

 

রং দে বাসন্তী

আমির খানের সাড়াজাগানো সিনেমা ‘রং দে বাসন্তী’তে বলা হয়েছে একঝাঁক তরুণের বন্ধুত্ব, দেশপ্রেম ও ভালোবাসার গল্প। ২০০৬ সালের সিনেমায় অভিনয় করেন আমির খান, সোহা আলী খান, আর মাধবন, শার্মান জোশি, কুনাল কাপুর, অ্যালিশ প্যাটেল প্রমুখ।

 

দোস্তানা

২০০৮ সালের অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা ‘দোস্তানা’, ‘সমকামিতা’ প্রেম ও বন্ধুত্বের বিচিত্র এক গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে এ সিনেমার কাহিনী। অভিষেক বচ্চন, জন আব্রাহাম ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত স্যাম, কুনাল ও নেহার বন্ধুত্বই শেষ পর্যন্ত বেশি নাড়া দেয় দর্শককে।

 

ওয়েক আপ সিড

কঙ্কনা সেন শর্মা ও রণবীর কাপুর অভিনীত ‘ওয়েক আপ সিড’। অপরিণত ও বিভ্রান্ত সিডকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা আয়েশার গল্প নিয়েই এ সিনেমার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। সিনেমার শেষে সিড ও আয়েশার সম্পর্ক প্রেমের দিকে গড়াবে এমনটা আশা করলেও তাদের বন্ধুত্ব দিয়েই শেষ হয় সিনেমাটি।

 

অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল

করণ জোহরের  আলোচিত সিনেমা ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমায় প্রেম ও বন্ধুত্বের পাশাপাশি অবস্থান। আনুশকা ও রণবীর অভিনীত আলিজেহ ও আয়ান চরিত্র দুটিতে বন্ধুত্ব থেকে পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে দেখা যায় তাদের। অন্যদিকে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরও ভালো বন্ধু হিসেবেই দেখা গেছে শাহরুখ-ঐশ্বরিয়া অভিনীত সাবা ও তাহির চরিত্র দুটিকে।

 

 

সর্বশেষ খবর