বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : আফরান নিশো

চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি

চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি

অভিনেতা আফরান নিশো। অভিনয়গুণে দর্শক হৃদয়ে তিনি আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। গতবারের মতো এই ঈদেও পর্দায় তার সরব উপস্থিতি দর্শক মুগ্ধ করেছে। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এই অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন— পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? কোরবানির প্রস্তুতি কেমন ছিল?

জি, ভালো আছি। আসলে ঈদের আগে শুটিংয়ের ব্যস্ততায় ওদিকে তেমন করে মন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর হাটের ভিড় ঠেলে, দরদাম করে, পছন্দসই গরু কিনে সফলভাবে ফিরে আসা মহা ঝক্কির ব্যাপার। সব কিছু চিন্তা করে বেশ কয়েক বছর ধরে গরু কেনার দায়িত্ব থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছি।

 

ঈদের নাটকে দর্শক রেসপন্স কেমন?

গতবারের মতো এবারও বেশ কিছু নাটকে একটু আলাদা চরিত্রে অভিনয় করেছি। দর্শক নাটক দেখে ইনবক্সে বলেছে, ফেসবুকে ট্যাগ করেছে। পরিচিত মানুষরা মেসেজ-ফোন করে এপ্রিসিয়েট করেছে। এই তো! তবে প্রতি ঈদেই লক্ষ্য থাকে একটু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ের। এইবারও সেটা করতে চেষ্টা করেছি। আমার দিক দিয়ে আমি সেটিসফায়েড।

 

এসবের মধ্যে আপনার ভালো লাগার নাটক...

নিজের অভিনীত সব নাটকই ভালো লাগার মতো। তবে উল্লেখ করে বলতে গেলে মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘লালাই’, ‘ছেলেরাও কাঁদে’, ‘এবার তোরা মানুষ হ’, ‘জীবন এখানে এমন’ ও ‘সুখী পরিবার’, কাজল আরেফীনের ‘ট্যাটু-৩’, সুমন আনোয়ারের ‘জুনিয়র আর্টিস্ট’ ও ‘আঙ্গুরবালা’, সাজ্জাদ সুমনের ‘বৃষ্টি ভেজা দিন’, আশফাক নিপুণের ‘ছলনা’, তুহিন হোসেনের ‘একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘ডাকাতের বউ’, মিশুক মুনীর ‘রঙ্গিন খামে ধুলো পড়া চিঠি’, মেহেদি হাসান জনির ‘নেগেটিভ-পজেটিভ’, মহিদুল মহিমের ‘রং বদল’, বিপ্লব ইউসুফের ‘কাচের দেয়াল’, ৭ পর্বের ধারাবাহিক ‘বাবুর্চিয়ানা’। এগুলো ছাড়াও আরও কিছু নাটকের দর্শক রেসপন্স ভালো ছিল।

 

ধারাবাহিক নাটক নিয়ে আপনার অভিমত কি? 

বর্তমানে ধারাবাহিক নাটকে তো ধারাবাহিকতা দেখা যায় না। আর আমাদের এখানে অনেক প্লট নিয়ে ধারাবাহিক নাটক হওয়ার কারণে বিভিন্ন প্লটের দিকে গল্প চলে যায় বাজেটের কারণে। অনেক সময় নাটক বানানোর ছয় মাস পর প্রচার হয়। আর প্রথম লট শেষ হওয়ার পর সেই ধারাবাহিকতা আর থাকে না।

 

টেলিভিশনে প্রচারিত নাটক কি দর্শক এখন দেখছে?

দেখছে। টেলিভিশনে প্রচারিত অনেক নাটক নিয়েই ভক্তদের কাছ থেকে অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। তারা ফেসবুকের ইনবক্সে বা তাদের টাইমলাইনে আমার নাটক দেখে ছবি তুলে শেয়ার দিচ্ছে, নাটক নিয়ে লিখছে। তবে ইউটিউবে একনাগাড়ে দেখা যায়, বিজ্ঞাপন বিরতি নেই। এটা পজেটিভ সাইন।

 

ইদানীং দর্শক আপনাকে ব্যতিক্রমী চরিত্রেই দেখছে...

এটা আমার একটা চেষ্টা থাকে সব সময়। স্বার্থপরের মতো চিন্তা বলা যায়। আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা। আমাকে বিভিন্ন চরিত্রে করতে হবে। একটা সময় বয়স হবে সে সময় তো হিরো চরিত্র করা যাবে না। সেই চেষ্টাটা সেই বিষয়টা আগে থেকে গোছানো। আর আমি সব সময় চেয়েছি অভিনেতা হতে হিরো হতে চাইনি।

 

 কোন অভিনেতাকে আপনি আইকন মানেন?

হুমায়ুন ফরীদিকে। তাকে দেখে আমি শিখেছি যে, আমার অভিনেতা হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর