দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত তার ‘নায়ক’ চলচ্চিত্রটি রয়েছে আলোচনায়। এই ছবির মাধ্যমেই নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয়েছে অধরা খানের। এই চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলাপনে — পান্থ আফজাল
ফোন দিয়েই সুন্দর একটি গান শুনতে পেলাম। গানটি কোন ছবির?
‘আল্লাহ আল্লাহ ভালোবাসার কি জাদু’—এই গানটি হিমেল আশরাফের ছবি ‘সুলতানা-বিবিয়ানা’র। গানটি গেয়েছেন আকাশ সেন। আমার বিপরীতে ছিলেন আঁচল। এই গানটি আমার পছন্দের গানের মধ্যে একটি। তাই ওয়েলকাম টিউন হিসেবে সেট করেছি।
কিছুুদিন আগে ‘নায়ক’ ছবি মুক্তি পেয়েছে। দর্শক সাড়া কেমন?
ইস্পাহানি আরিফ জাহান জুটির নির্মাণে ছবি এটি। আমার বিপরীতে রয়েছেন অধরা খান। মৌসুমী আপুও অভিনয় করেছেন। ছবিটি গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে দেশের ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে। ছবিটি নায়কের ওপরই নির্মিত। এখন পর্যন্ত দর্শক রেসপন্স অনেক ভালো বলতে পারেন। দর্শক ও চলচ্চিত্রবোদ্ধা যারা ছবিটি দেখেছেন, তারা আমার অভিনয়কে অনেক এপ্রিসিয়েট করেছেন, প্রশংসা করেছেন। ছবি দেখে অনেক দর্শক কান্না করে হল থেকে বের হয়েছেন। নায়ক হিসেবে এটা আমার বড় প্রাপ্তি।
এই পর্যন্ত কোন কোন হলে গিয়েছেন?
গতকাল সন্ধ্যায় ভাই-বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অভিসার সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। শো হাউসফুল ছিল। এর আগে কুমিল্লার একটি হলে গিয়েছিলাম। সেখানেও দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। বেশির ভাগ হলে রিপোর্ট ভালো।
ছবিতে সহশিল্পীরা কেমন করেছেন?
সবাই ভালো চেষ্টা করেছেন। নতুন হিসেবে অধরাও অভিনয় করার ভালো চেষ্টা করেছেন। মৌসুমী আপুর অভিনয় অসাধারণ ছিল! পুরো টিমই অনেক বেশি সাপোর্টিভ ছিল।
হল সংখ্যা আরও কি বাড়তে পারে?
যেহেতু হল রিপোর্ট ভালো, তাই নেক্সট উইকে হল সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
‘আসমানী’ ছবির কি খবর?
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের লেখা ‘আসমানী’ কবিতা অবলম্বনে এম এ সাখাওয়াত হোসেন নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্রটি। আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সুস্মী রহমান। ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কবিতার ছায়া অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ হলেও এটি আধুনিক সময়ের একটি ছবি। ছবিটি তার আসমান নামে একজন শিক্ষিত ছেলের গল্প। ছবিটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।
আর কী কী চলচ্চিত্রে কাজ করছেন?
মুক্তির অপেক্ষায় আছে তারেক সিকদারের ‘দাগ’ ছবিটি। আর শুটিং করছি ‘ডেঞ্জার জোন’, ‘প্রেমের বাঁধন’, ‘ভোলা আর ‘পাগলামি’।
বাইরের নির্মাতাদের চলচ্চিত্রগুলো কেন বেশি প্রশংসিত হচ্ছে?
বাইরের নির্মাতারা এফডিসি ঘরানার নির্মাতা থেকে চলচ্চিত্রের প্রচারণায় অনেক বেশি পটু। বাইরের নির্মাতাদের মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া বেশি থাকে, প্রচুর স্টাডি করে তারা।
বাইরের নির্মাতা থেকে চলচ্চিত্র করার অফার যদি আসে ...
আমি রেডি। ১০০% প্রস্তুত তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য। আমি তাদের কাজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চাই।