রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নতুন লুকে বড় পর্দায় অনন্ত জলিল

আলাউদ্দীন মাজিদ

নতুন লুকে বড় পর্দায় অনন্ত জলিল

ঢালিউড ক্রেজ নায়ক অনন্ত জলিল এবার নতুন লুকে বড় পর্দায় আসছেন। তিনি ধর্মীয় ছবি নির্মাণ করবেন এটি এ বছরের শুরুর দিকেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। ছবির শিরোনাম ‘দিন দ্য ডে’। এবার ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। আগামী মাসেই শুরু করবেন শুটিং। ইরানের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম ছবিটি পরিচালনা করবেন। ছবির গল্প ভাবনা অনন্তর, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ।

বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হবে ছবিটি। ছবিতে অনন্ত ও বর্ষা ছাড়াও অভিনয় করবেন সুমন ফারুক। এ ছাড়া ইরান ও লেবাননের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের এতে অভিনয় করার কথা রয়েছে। চলচ্চিত্রে নতুন শিল্পী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন অনন্ত জলিল। ট্যালেন্ট হান্ট শিরোনামের এই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণরাও অভিনয় করবেন দিন-দ্য ডে-তে। গত মাসে তেহরানে ছবিটি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন অনন্ত জলিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা সুমন ফারুক, পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমসহ অনেকেই। বাংলা ছাড়াও ছবিটি ফারসি, আরবি ও ইংরেজিতে ডাবিং করা হবে বলে জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। বাংলাদেশ ছাড়াও ছবিটি ইরানসহ বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাবে। ইরানের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অনন্তর মনসুন ফিল্মস যৌথভাবে ছবিটি নির্মাণ করবে। বিষয়টি নিয়ে তেহরান টাইমসে সাক্ষসকার দিয়েছেন ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলি রেজা। যৌথ প্রযোজনার ক্ষেত্রে তিনি একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘অনন্ত জলিল পুরো বিষয়টি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। তিনি যা ভাবছেন, তা অত্যন্ত সময় উপযোগী। ইসলাম নিয়ে এমন ছবি নির্মাণ করাটা জরুরি। তিনি ইরান ও বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ করতে চান। এ ক্ষেত্রে আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই। আমরাও খুবই আগ্রহী। আলোচনা ইতিবাচক। তবে পাণ্ডুলিপিটি দুই পক্ষের মন মতো হতে হবে।’ ইরানের বিভিন্ন সিনেমা হল ও বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি সিনেমাটির শুটিং হবে ইরান, লেবানন ও সিরিয়ায়। সিনেমাটিতে ইরানের বিখ্যাত নগরী ইস্পাহান, শিরাজ থেকে শুরু করে সিরিয়া ও লেবাননের বৈরুতের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাবে।

ধর্মীয় গল্পের ছবি কেন নির্মাণ করতে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে অনন্তর দৃঢ় প্রত্যয়ী উত্তর— দেখুন, আমরা সবাই একদিন মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ফিরে যাব। পৃথিবীতে এসে আমরা অনেক কাজ করি। সব কাজের মধ্যে মহান সৃষ্টিকর্তার শোকরিয়া আদায় হচ্ছে প্রধান কর্তব্য। তাই শান্তির ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে সচেতন থাকা ও অন্যদের সচেতন করা মুসলমানের একান্ত করণীয় কাজ। এই দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের তাগিদেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। ইসলাম ধর্মকে নেতিবাচক রূপ দিয়ে বিশ্বে এখন এই শান্তির ধর্মের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার এবং অপতসপরতা চলছে, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্মাণ হবে আমার এবারের চলচ্চিত্র। মুসলমান আর মুসলিম দেশগুলোকে  টেরোরিস্ট আখ্যা দিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন ক্রমেই বাড়ছে। এ বিষয়গুলোই ছবির গল্পে স্থান পাবে। ছবির মূল বাণী হলো— মুসলিম ইজ নট টেরোরিস্ট অ্যান্ড ইসলাম ইজ নট সাপোর্ট টেরোরিজম। ছবির শেষ দৃশ্যটি এমন হতে পারে— একজন ইসলামবিরোধী মারা যাচ্ছে শূন্য হাতে আর একজন সাচ্চা মুসলমান দ্বীন নিয়ে মৃত্যুবরণ করল।

সর্বশেষ খবর