শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → জয়া আহসান

ভালো ছবির কোনো দেশ হয় না

ভালো ছবির কোনো দেশ হয় না

আজ বাংলাদেশের ২২টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসান অভিনীত ভারতীয় ছবি ‘কণ্ঠ’। এরই মধ্যে ছবিটি ভারতে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশে ছবিটির মুক্তি ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন-  আলী আফতাব

 

আজ বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘কণ্ঠ’ ছবিটি। আপনার প্রত্যাশা কী?

আমি মনে করি, ভালো ছবির কোনো দেশ হয় না। তেমনি এই ছবিটির বেলায়ও বলতে পারেন, এটা ভীষণ প্রয়োজনীয় একটা ছবি। লড়াইয়ের গল্প, একটা মানুষের জীবনের কাছে ফিরে আসার গল্প। আমাদের দেশে পরিবার নিয়ে বিনোদনের বেশি মাধ্যম নেই। তাই আমার প্রত্যাশা, একটু কষ্ট করে সবাই মিলে সিনেমা হলে গিয়ে আমরা এই ছবিটি দেখব। এছাড়া আমার ভক্তদের জন্যও এটা একটা সুযোগ, আমি ভারতে কী ধরনের কাজ করি, কী কাজে প্রশংসা পাই ছবিটা দেখলে সেটা বুঝতে পারবেন।

 

এখানে দুটি নারী চরিত্র আছে। তার মধ্যে স্পিচ থেরাপিস্ট চরিত্রটি অনেক কঠিন। এই চরিত্রটি কেন নিলেন?

আমি সব সময়ই একটু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি। তেমনি এই ছবির বেলায়ও শিবুদা গল্প শুনিয়ে বললেন, দুটি নারী চরিত্রের ভিতর তুমি কোনটা করতে চাও? তখনই আমি জানিয়ে দিলাম, আমি স্পিচ থেরাপিস্ট চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। তখন আমাকে বললেন, তুমি একটু ঢেঁকুর তুলে কথা বলে দেখাও তো। আমি চেষ্টা করলাম, তারাও খুব ভালো বললেন।

 

এই ছবি করার ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?

এই ছবিতে খুবই স্পর্শকাতর একটা চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এর কারণ হচ্ছে, সংলাপগুলো অনেক ইনফরমেটিভ। তথ্যগুলো ভুল দিলে হবে না, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়েছে। আর এ জন্য আমাকে কলকাতার খুবই নামকরা একজন স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে। বসতে হয়েছে মনোবিদের সঙ্গেও।

 

ছবিতে কোন দৃশ্যটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মনে হয়েছে আপনার কাছে?

এই ছবিতে স্পিচ থেরাপিস্টের পুরো চরিত্রটিই চ্যালেঞ্জের। তার মধ্যে আমাকে খাদ্যনালি দিয়ে কথা বলতে হয়েছে। গলার সাউন্ড বক্স কেটে ফেলা হলে মানুষকে খাদ্যনালি দিয়ে কথা বলতে হয়, ঢেঁকুর তুলে তুলে। কিন্তু আমার গলায় তো সাউন্ড বক্স রয়েছে, সেটাকে ইগনোর করে খাদ্যনালি দিয়ে কথা বলা আমার জন্য বেশ কঠিন! ক্যামেরা অন হওয়ার পর যদি ঢেঁকুরটা ঠিকঠাক তুলতে না পারি, আমি কিন্তু ফেল করে যাব। ওটা আমি একবারেই করতে পেরেছিলাম। কারণ শটে যাওয়ার আগে অনেক প্র্যাকটিস করে নিয়েছি।

 

এই ছবির গল্পের সঙ্গে নিজের জীবনের কোনো মিল খুঁজে পান?

‘কণ্ঠ’ ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। হতাশা সবার জীবনেই আসে। পার্সোনাল লাইফ অনেক সময় আমাদের এলোমেলো করে দেয়। সেই সময়টা জয় করাটাই আসল পরীক্ষা। এমন সব সময়ে কাজটাকে আঁকড়ে ধরেছি, কাজে ফোকাসড হওয়ার চেষ্টা করেছি। কাজটাই আমাকে মুক্তি দিয়েছে। মদ, সিগারেট, ড্রাগস বা খারাপ সঙ্গ এসব না ধরে কেউ যদি কাজে ফোকাসড হয়, সে একটা আশ্রয় পায়।

 

এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য এরই মধ্যে ভিন্ন জায়গা থেকে প্রশংসিত হয়েছেন। কেমন লাগছে?

যে কোনো কাজের প্রাপ্তি ভালো হলে আনন্দ লাগে।

এই ছবির জন্যও অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তার মধ্যে ড. দেবী শেঠি ছবিটি দেখেছেন। তিনি ছবি ও আমার প্রশংসা করেছেন। তার মতো মানুষের সার্টিফিকেট পেয়ে কনফিডেন্স পেয়েছি। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে অনেক ডাক্তার আমাকে ফোন করে এই ছবিটি দেখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় সম্পর্কে জানতে চাই...

শিবপ্রসাদ এই সিনেমার প্রধান অভিনেতা। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা যুগলবন্দি হয়ে ছবি করেন। টালিগঞ্জের ছবির ব্যবসার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন তারা। এরা কখনো পূজায় ছবি নিয়ে আসেন না, রিলিজ দেন অফ সিজনে। তাদের সিনেমা ভারতের বিভিন্ন ভাষায় রিমেক হয়। এক কথায় তারা ‘হিট মেশিন’।

 

‘অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং শুরু কবে থেকে?

কৌশিক গাঙ্গুলির নতুন ছবি ‘অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং করব শিগগিরই। এই ছবির গল্পটিও বেশ সুন্দর।

এছাড়া হাতে আরও কিছু ছবি আছে, তবে কৌশিক গাঙ্গুলির ছবিটাই বড় কাজ। এছাড়া বাংলাদেশে মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘অলাতচক্র’, ‘পেয়ারার সুবাস’ ও ‘বিউটি সার্কাস’ শিরোনামের তিনটি ছবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর