রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দূরত্বের সেতুবন্ধে ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল

পান্থ আফজাল

দূরত্বের সেতুবন্ধে ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল

নৃত্যশিল্পীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স এশিয়া প্যাসিফিক (ডব্লিউডিএ-এপি)-এর বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ প্রথমবারের মতো চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক নৃত্য উৎসব ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের মারমেইড ইকো রিসোর্টে বালির ওপর তৈরি হওয়া মঞ্চে মনিপুরী শিল্পীদের পুংয়ের তালের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আন্তর্জাতিক নৃত্যের সবচেয়ে বড় এ মহাযজ্ঞ। এ বছরের বিষয়বস্তু দূরত্বের সেতুবন্ধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডব্লি­উডিএ-এপির সভাপতি ঊর্মিমালা সরকার বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডব্লি­উডিএ সহসভাপতি লুবনা মারিয়াম, সাবেক সভাপতি তাইওয়ানের ইউনি ওয়াং এবং ডব্লি­উডিএ-এপির বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগের সভাপতি আনিসুল ইসলাম হিরু ও ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যালের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুং বাজায় সিলেট থেকে আসা মনিপুরী দল, ঢোল বাজায় বাংলার ঢোল এবং নৃত্য পরিবেশন করে নাঈম খান ড্যান্স কোম্পানি। প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পীরা মিলে দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক এ নৃত্য উৎসবের শুভসূচনা করেন। দর্শকরাও নিজেদের মুঠোফোনের বাতিগুলো জ্বালিয়ে একাত্ম হন। এদিন নৃত্য পরিবেশনা নিয়ে আসেন তাইওয়ানের হুয়াং ইয়ু তিং, ভারতের মেঘনা ভরদ্বাজ, বাংলাদেশের জুয়েইরিয়াহ মৌলি, সাধনা কালচারাল সেন্টার, কল্পতরু, আনন্দিতা খান ও মৌমিতা জয়া। যুক্তরাষ্ট্রের অনন্যা চ্যাটার্জি প্রথম পরিবেশনা নিয়ে আসেন। উৎসবের চার দিনই ভোর থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্টসংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা, সেমিনার। সন্ধ্যা থেকে কক্স কার্নিভ্যাল মিলনায়তনে থাকবে দুই দফা নৃত্য পরিবেশনা। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকনৃত্য, সমসাময়িক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ও নৃত্যনাট্য। এদিকে ডব্লি­উডিএ-এপির বার্ষিক সাধারণ সভা এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ উৎসবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস অতিথি হিসেবে

থাকবেন। উৎসবে বিশ্বের ১৫টি দেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ৮১ জন নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও কোরিওগ্রাফার। ২৫ নভেম্বর উৎসবের সমাপনী ঘটবে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে।

সর্বশেষ খবর