আজ কত বছরে পা দিলেন আপনি?
বয়স কত হলো তা বলতে চাচ্ছি না। তবে আমার জন্ম ১৯৭৫-এ। এখন আপনারাই বের করে নেন আমার বয়স কত।
এবারের জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন আছে?
আমার জন্মদিনকে ঘিরে এবার তেমন কোনো আয়োজন রাখছি না। পরিবারের সঙ্গে দিনটি কাটাব আজ।
তার মানে অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন?
হ্যাঁ, স্টেজ শো নিয়ে অনেক ব্যস্ত। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু স্টেজ শো আছে। আর এ কারণে এবার আর জন্মদিনটি ঘটা করে পালন করা হলো না।
আপনার ইউটিউবে আর নতুন কোনো গান আসছে না কেন?
আমার ইচ্ছে ছিল প্রতি মাসেই একটি করে নতুন গান আমার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করব। আমার হাতে প্রায় ১১টি গান রেডি আছে। কিন্তু গানগুলোর মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হয়নি। স্টেজ শোর ব্যস্ততার কারণে গানগুলোর ভিডিও করতে পারছি না। তবে ইচ্ছে আছে এ বছর সবগুলো গান প্রকাশ কারার।
জীবনের প্রথম প্লে-ব্যাক ১৯৯৪ সালে ‘বিদ্রোহী বধূ’ ছবিতে। ওই দিনের কথা কী মনে আছে?
একদিন বাসায় ঝন্টু আংকেল এসে বাবাকে বললেন, ‘আলমগীর, আমার ছবিতে আঁখি একটা গান গাইবে।’ শুরুতে বাবা রাজি হচ্ছিলেন না। ঝন্টু আংকেল এক রকম জোর করেই আমাকে দিয়ে গান তোলালেন। শেষে আংকেলের জোরাজুরিতে বাবাও রাজি হলেন। এভাবে হঠাৎ করেই শুরু। এর পর ঝন্টু আংকেলেরই ৬০-৭০টা গান গেয়ে ফেলেছি। এ ছাড়া আলম খান, আলাউদ্দীন আলী, আনোয়ার পারভেজ, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, শেখ সাদী খানসহ অনেকের গানে কণ্ঠ দিয়েছি।
আপনার তো অভিনয়শিল্পী হওয়ার কথা ছিল। শিল্পী হলেন কেন?
শোবিজে আমার শুরুটা ১৯৮৪ সালে আমজাদ হোসেন স্যারের ‘ভাত দে’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এর জন্য আমি জাতীয় পুরস্কার পাই। তবে অভিনয়শিল্পী থেকে সংগীতশিল্পী হয়ে গেছি, এমনটা কিন্তু নয়। আমি আগাগোড়াই সংগীতশিল্পী ছিলাম। ছোটবেলাতেই গান শেখার শুরু। অভিনয়টা হয়তো আমার জন্য সহজ হতো; কিন্তু আমি সব সময় নিজে কিছু করতে চেয়েছি।
দেশ-বিদেশের অনেক স্টেজ শোতে আপনি গান পরিবেশন করেন। আজ এখানে তো কাল ওখানে। কষ্ট হয় না?
এমনও হয়েছে, শো করতে সাত-আট ঘণ্টার রাস্তা এসি ছাড়া মাইক্রোতে চড়ে গেছি। রাতে চট্টগ্রামে শো করে গাড়িতে করে ঢাকায় এসে সকালের ফ্লাইট ধরেছি। পর দিন রাতে দুবাইয়ে শো করেছি। কাউকে বুঝতেও দিইনি আগের রাতে একটুও ঘুমাইনি। চলার পথে কখনো হিসাব করিনি আমি কার মেয়ে। বরং নিজের পরিশ্রমে সবার মতো যুদ্ধ করে আজকের পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি।
গানের জগতে ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন। এবার আরও একবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। আর কী ইচ্ছে আছে?
অনেক গান করেছি, তবে আরও অনেক ভালো গান করার ইচ্ছা আছে। একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় পাওয়া কিন্তু মানুষের ভালোবাসা। আমি সেই ভালোবাসার কাঙাল। আরও ভালো ভালো গান গেয়ে মানুষের মনে স্থায়ী
হতে চাই।