মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

জন্মদিনে বাবা-মাকেই বেশি মনে পড়ে

জন্মদিনে বাবা-মাকেই বেশি মনে পড়ে

মৌসুমী

‘সেই মেয়েটি...যার মেঘ কালো চুল, হরিণীর চোখ, কণ্ঠে বীণা, তার হাসি যেন শিশিরের কণা, তার দৃষ্টি যেন মায়াবী ছলনা’- সেই মেয়েটি আর কেউ নন, আমাদের অতি প্রিয় মানুষ অভিনেত্রী প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। আজ তার শুভ জন্মদিন। শুভকামনা জানিয়ে জন্মদিনকে ঘিরে তার বলা কথা তুলে ধরেছেন-

আলাউদ্দীন মাজিদ

 

জন্মদিনে প্রথম প্রহরের অনুভূতি কেমন থাকে?

জন্মদিনে ভালো লাগার অনুভূতি সত্যিই খুব মধুর। কাছের মানুষ, আপনজন, ভক্ত সবার অবারিত ভালোবাসায় সিক্ত হতে থাকি। মনে হয় সারা বছর যত কাজ করি জন্মদিনের এই ভালোবাসা যেন তারই প্রাপ্তি। ভালো কাজের প্রতিফলন। এই ভালোবাসা না পেলে মনে হতো আমি হয়তো ব্যর্থ। কারও জন্য কখনো কিছু করতে পারিনি। কারও মনের গভীরে বাসা বাঁধতে পারিনি। জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে অনাবিল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে সত্যি আমি সবার ভালোবাসার মৌসুমী হতে পেরেছি। এখানেই আমার কর্মময় জীবনের সার্থকতা।

 

এবারের জন্মদিন কীভাবে কাটাবেন?

এবারের জন্মদিনের আনন্দ একটু অন্যরকম তো হবেই। এখন বৈশ্বিক করোনা মহামারীকাল। চাইলেও সবাইকে নিয়ে আনন্দযোগে থাকতে পারিনি। জন্মদিনের সূচনালগ্নে অসংখ্য ভক্ত-দর্শকের সঙ্গে অনলাইনে কেক কেটেছি। পরিবার এবং কাছের কিছু প্রিয় মানুষের সঙ্গেও কেক কাটলাম। সবার দোয়া আর ভালোবাসা পেলাম। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যম থেকে শুভেচ্ছায় সিক্ত হলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের অবিরাম শুভেচ্ছায় ধন্য হলাম। সবার প্রতি ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সবার দোয়া চাইছি, যেন আগামীতে আমার প্রিয় দেশ আর মানুষের জন্য আরও ভালো কিছু কাজ করে যেতে পারি।

 

জন্মদিন এলে কাকে বেশি মিস করেন?

(একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে), হ্যাঁ, বাবা-মাকে বেশি মিস করি। বাবা-মা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের জন্যই আজ আমি সবার ভালোবাসার মৌসুমী হতে পেরেছি। তাদের চরণধূলিই আমার চলার পথের সফলতার দোয়া। আমার জন্মদিন যেন বাবা-মায়েরই আনন্দের দিন। আমি তাদের আদরের কন্যা। বাবা-মায়ের স্বপ্ন কতটুকু পূরণ করতে পেরেছি জানি না। চেষ্টা করেছি। কতটা সার্থক হতে পেরেছি তাও জানি না। বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার ছায়া আর মমতায় বেড়ে উঠেছি। মৌসুমী হয়েছি। আর আমাকে মৌসুমী হিসেবে গড়ে তোলার কারিগর হিসেবে বাবা-মার ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বাবা আজ এই পৃথিবীতে নেই। মা আছেন। মাকে যেন মহান সৃষ্টিকর্তা হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখেন। তার ছায়ায় আমার কর্ম যেন আরও পূর্ণতা পায়, সেই প্রার্থনাই করি।

 

স্বামী-সন্তান নিয়ে দিনটি কতটা বর্ণিল হলো?

এবারের জন্মদিনে স্বামী ওমর সানী, দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজা কাছে থাকলেও মা কাছে নেই। তাই অনেক আনন্দের মাঝে মায়ের জন্যও মন খারাপ। প্রত্যেক জন্মদিনেই মা পাশে থাকেন, দিনটিকে আরও বেশি আলোকিত করে তোলেন। তবে ছোট বোন ইরিনের কাছে মা দেশের বাইরে আছেন, ভালো আছেন, সেটা ভেবে শান্তি পাচ্ছি। দূর থেকে হলেও মা মুঠোফোনে দোয়া জানিয়েছেন। মনটা খুশিতে ভরে গেছে। মনে হলো সত্যিই এবারের জন্মদিনটা শতভাগ আনন্দে পূর্ণ হলো।

 

ভালোবাসার মানুষদের কী বলবেন?

আমার ভালোবাসার মানুষ মানে ভক্তরা সারাটা বছর আমাকে নিয়ে ভাবেন। আমার জন্মদিনে কী করবে তার পরিকল্পনা করেন। মৌসুমী ফ্যান ক্লাব এবং ওমর সানী ফ্যান ক্লাব আলাদাভাবে দিনটি উদযাপন করছে। এই ভালোবাসাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ। সারা বছরের শত ব্যস্ততার মাঝেও আমার প্রতি সবার ভালোবাসার রেশ কখনো কাটতে চায় না। আমি ধন্য, সার্থক আমার এই জন্ম।

সর্বশেষ খবর