বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনায় তারকাদের নববর্ষ

বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। এ আয়োজনটি ঘিরে সবার থাকে নানা পরিকল্পনা। করোনার কারণে এবারও কি তারকাদের বৈশাখ কাটবে ঘরে। নববর্ষের প্রথম দিনে নিজ নিজ পরিকল্পনার কথা বলেছেন তারকারা। তাঁদের কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ ও পান্থ আফজাল

করোনায় তারকাদের নববর্ষ

মৌসুমী

এবারের পয়লা বৈশাখের আনন্দ বলতে গেলে গত বছরের মতোই করোনা কেড়ে নিয়েছে। তাছাড়া নববর্ষের দিনটিতে দেশে থাকবে কঠোর লকডাউন। রমজানেরও প্রথম দিন আজ। সবমিলিয়ে এবার শুধু আমার পরিবার নয়, কেউই বড় আকারে নববর্ষ পালন করবে বলে মনে হয় না। তারপরও বাঙালির এই প্রাণের দিনটিতে সবার প্রতি রইল নববর্ষের অনাবিল শুভেচ্ছা।

 

অপু বিশ্বাস

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ মানে বাংলা নববর্ষ। করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকায় বাইরে জমজমাটভাবে দিনটি পালন করা যাবে না। কিন্তু ঘরে পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে সীমিত আকারে দিনটি পালন করে নতুন বছরের আনন্দ কিছুটা হলেও ভাগাভাগি করে নেওয়া যাবে। তবে করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সবার সচেতনতা জরুরি। সবার প্রতি রইল নববর্ষের শুভেচ্ছা।

 

মাহিয়া মাহী

বছর ঘুরে আবারও আসছে বৈশাখ। চৈত্রসংক্রান্তি, হালখাতা ও বর্ষবরণের উৎসবে মেতে উঠবে মানুষ। করোনাকালে বাইরে ঘুরতে যাওয়া সম্ভব নয়। ঘরেই দিনটি কাটাতে হবে। পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। ইলিশ আর পান্তা আমার খুবই প্রিয়। যেহেতু এবার একই দিন রমজানও শুরু হচ্ছে, তাই আর দিনে পান্তা ইলিশ খাওয়া সম্ভব হবে না। ইফতারের রেসিপিতে এই আইটেমটি রাখতে চাই। আর সবার প্রতি রইল নববর্ষের শুভেচ্ছা।

 

বিদ্যা সিনহা মিম

লকডাউনে সব বন্ধ। পয়লা বৈশাখ নিয়ে তাই বিশেষ কোনো আয়োজন কিংবা পরিকল্পনা নেই। জীবন আগে। বেঁচে থাকলে আবারও বৈশাখ উদযাপন করতে পারব। বাইরে কোথাও বের হওয়ার ইচ্ছা নেই। বাসায় থাকব। গত বছর বৈশাখে ঘরবন্দী ছিলাম। বাসায় রান্নাবান্না করেছি। এবারও তাই করতে হবে। নতুন বছরে আমার একটাই চাওয়া, করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়ে দেশ আগের মতো হোক। আমরা যেন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি। সবার প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা।

 

মেহজাবিন চৌধুরী

বৈশাখ মানেই আমার কাছে নিজের ও নিজস্ব সংস্কৃতির একটি দিন। বাঙালির এই চিরায়ত উৎসবকে নানা রঙেই দেখেছি। বৈশাখের দিনটা বেশি আনন্দের। করোনার কারণে বাসায় সময় কাটবে। করোনার প্রকোপ বেড়েছে। সবাইকে বলব, জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই। আমাদের সুস্থ থাকতে হবে। যার যেমন সামর্থ্য আছে অসহায় মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। দোয়া করি করোনাকালে সবাই যেন সুস্থ থাকেন। এ সমস্যা যেন দ্রুত কেটে যায়। বাঙালির চেতনার এই নতুন দিনে সবাই যেন করোনামুক্ত নতুন পৃথিবীর দেখা পায়, এটাই প্রত্যাশা।

 

কাজী নওশাবা আহমেদ

প্রতি বছর এই দিনে সাজগোজ করে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হতাম, তারপর ৫০-৬০ জন পথশিশুকে খাওয়াতাম। একটি করে গাছ লাগাতাম। সাধারণত এভাবেই প্রতি বছর বৈশাখ উদযাপন করা হতো। কিন্তু এবারের অবস্থা অন্যরকম। বাইরে বের হওয়া যাবে না। তাই বেশ কয়েক দিন ধরেই মেয়েকে বুঝিয়েছি, এবার আর আগের মতো আমরা বৈশাখ উদযাপন করব না। তবে মেয়েকে সাজিয়ে-গুছিয়ে দেব। পাপেট নিয়ে মা-মেয়ে সারাটা দিন খেলা করব। বছরের প্রথম দিনে আমার প্রত্যাশা থাকবে, আমরা সবাই যেন একটু মানবিক হই।

 

নাজিয়া হক অর্ষা

প্রতি বছর বৈশাখটা ভিন্নভাবে পালন করা হতো। এবার অন্যরকম পরিস্থিতি। বৈশাখের এই দিনে ইলিশ রান্না করা হতো। এর পাশাপাশি বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়ে থাকে। তবে মন খারাপের জায়গা রয়েছে। দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, লকডাউনের সময় বেড়ে যাচ্ছে। সব সময় আতঙ্ক কাজ করে। একটি নতুন বছর শুরু হলো। বৈশাখে সব খারাপ কেটে যাক। সবার বৈশাখ যেন ভালো হয় সেই প্রত্যাশা। পৃথিবী শান্ত হয়ে অনাবিল প্রশান্তিতে ভরে উঠুক।

 

জিনাত শানু স্বাগতা

এবারের নববর্ষ তো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হচ্ছে না। দেশ লকডাউনের মধ্যে আবার পড়েছে। তাই আগের মতো ঘরে বসেই নববর্ষ পালন করা হবে সবার। তিন ভাই-বোন মিলে বাসায় নববর্ষ নিজেদের মতো করেই কাটাব। নববর্ষ মানেই তো পান্তা আর ইলিশ। এবার তো সবকিছু তেমন করে হচ্ছে না। এই নববর্ষে সবার মঙ্গল কামনাই আমাদের সবার ব্রত হওয়া উচিত। সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর