দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌসের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে কথা বলেছেন পূর্ণিমা। পূর্ণিমা বলেন, ফেরদৌসের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব পারিবারিক। কেউ কেউ আছেন শুধু দুজনের মধ্যে বন্ধু, কিন্তু পরিবারের মধ্যে নয়। আমাদের বন্ধুত্ব তা নয়। আমি যখন তাঁকে ফোন করি তা আমার সন্তান যেমন জানে, তাঁর সন্তানরাও জানে। আমরা কথা বলার সময় সবার আগে পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিই। ভাবির সঙ্গেও কথা বলি। আমাদের বন্ধুত্ব এতটাই গভীর। আমরা বন্ধু হিসেবে যতটা বেশি কাছাকাছি ততটা কিন্তু সিনেমায় জুটি হিসেবে কাজ করিনি। বন্ধু হতে ওই বিষয়টি দরকার হয়নি। দুজনে খুবই কম সিনেমা করেছি। কিন্তু প্রথম সিনেমা করার সময় থেকেই বন্ধুত্ব হতে সময় লাগেনি। আউটডোরে শুটিং করেছিলাম। বেশ কিছুদিন সবাই মিলে সেখানে ছিলাম। তখনই বুঝতে পারি মানুষ হিসেবে অনেক ভালো তিনি। তারপর বন্ধুত্বের জার্নিটা শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, দুজনের সিনেমা কম হোক কিন্তু বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি। গত ৬ বছর আমরা দুজনে একসঙ্গে স্টেজ, টেলিভিশনে অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। সিনেমার চেয়ে উপস্থাপনায় বরং জুটি হিসেবে প্রচুর কাজ করেছি, যা কি না দর্শকরা পছন্দ করেছেন। এখন আমরা যেখানেই থাকি নিজেদের খোঁজখবর নেই, পরিবারের খোঁজ নেই। দীর্ঘদিনের পথচলায় বন্ধু হিসেবে মনে হয়েছে, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে তিনি খুব ভালো। ব্যক্তিত্ববান একজন মানুষ। বন্ধু হিসেবে ফেরদৌস অসাধারণ। মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। তাঁর মধ্যে কোনো ঝুট-ঝামেলা নেই। ঝুট-ঝামেলা পছন্দ করেন না। একজন ভালো মানুষের যা যা গুণ আছে তা সবই আছে তাঁর মধ্যে। তাঁর মধ্যে নেগেটিভ কিছু নেই। কারও ক্ষতি করে কিছু করেন না। এমন ভালো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পেয়ে খুব ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা- ফেরদৌসের মনটা খুব বড়।