মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : অণিমা রায়

দেশে কেন রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট নেই

শোবিজ প্রতিবেদক

দেশে কেন রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট নেই

এসে গেল আষাঢ় মাস। ‘আজি ঝরঝর এই বাদলা দিনে’ কেমন ব্যস্ততা প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অণিমা রায়ের। কারণ আর রবীন্দ্র, দুইয়ের মধ্যে একটি অদৃশ্য সুর আর সুতার বন্ধন রয়েছে। তাই এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর কাছে জানতে চাইলাম সময়টা কীভাবে কাটবে তাঁর। সে কথাই তুলে ধরা হলো এখানে-

 

আষাঢ়ের ব্যস্ততা কেমন?

পয়লা আষাঢ় আমার গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ‘ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো আমার মুখের আঁচলখানি’ প্রকাশ হবে। ওই দিন চ্যানেল আইয়ে সকালবেলা আমার বিশেষ গানের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্র্রচার হবে। একই দিন সুর বিহারের উদ্যোগে ‘বর্ষা অনুষ্ঠান’-এ আমার গানের আয়োজন থাকছে।

 

এ ছাড়া গান নিয়ে বর্তমান ব্যস্ততা কেমন?

আসলে গান নিয়ে বেশ ব্যস্ত আছি। এ মাসের ১৭ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ও সিডনিতে আমার একক গানের অনুষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া ১৪ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য বইমেলা ও সেমিনারে যোগ দেব এবং রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করব। সম্প্রতি ডি এল রায়ের কথায় আমার পাঁচটি গান প্রচার হয়েছে চ্যানেল আইয়ে। শিগগিরই এগুলো আমার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে। একই সঙ্গে ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেয়ে যাচ্ছি।

 

দেশে রবীন্দ্রসংগীত চর্চা কতটা প্রসার পাচ্ছে?

এ বিষয়ে দুঃখ নিয়ে বলতে হয় আশানুরূপভাবে প্রসারের কোনো উদ্যোগ নেই। যেমন আজ পর্যন্ত দেশে রবীন্দ্রসংগীত ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হয়নি। আজ যদি এই প্রতিষ্ঠানটি থাকত তাহলে এখানে গবেষণা হতো লাইব্রেরি থাকত। এতে নতুন প্রজন্মের পক্ষে রবীন্দ্রচর্চা করা সহজ হতো। দেখুন, আমাদের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথেরই রচিত। সেই হিসেবে রবীন্দ্রনাথ যেভাবে প্রত্যেকের হৃদয়ে গেঁথে থাকার কথা তা কিন্তু হচ্ছে না। আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি সড়কও হতে পারত। কিন্তু সেভাবে কিছুই তো হচ্ছে না।

 

এর জন্য দায়ী কে বা কারা?

দেখুন, আমাদের দেশে এখনো রবীন্দ্র এবং নজরুলচর্চা কিন্তু তাঁদের জন্ম ও প্রয়াণ দিবসেই সীমিত হয়ে আছে। ফলে নতুন প্রজন্ম তাঁদের সেভাবে জানতে বা চিনতে পারছে না। এটি প্রধানত আমাদের অভিভাবকদেরই ব্যর্থতা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই জানা. চেনা ও চর্চা বাড়াতে স্কুল, কলেজ, পরিবার ও সমাজ, সংস্কৃতির ধারক বাহকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে এই সংস্কৃতির জন্য বাঙালির যে আত্মত্যাগ তা আজ হারাতে বসেছে। এটি সবাইকে মিলে রক্ষা করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর