রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : ফেরদৌস ওয়াহিদ

ঈদ আনন্দের ধরন পাল্টে গেছে

ঈদ আনন্দের ধরন পাল্টে গেছে

তিনি ফেরদৌস ওয়াহিদ। আশির দশকের পপতারকা। ফেরদৌস ওয়াহিদের পথ অনুসরণ করে ছেলে হাবিব ওয়াহিদসহ আরও অনেকেই এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীত তারকা।  সাক্ষাৎকার নিয়েছেন - সাইফ ইমন

 

ছোটবেলার ঈদ আর এই সময়ের ঈদের পার্থক্য কেমন?

ছোটবেলার ঈদ ছিল আত্মার আনন্দ। আর এখন আনন্দের ধরন পাল্টে গেছে অনেক। এখন ত্যাগের বিষয়টা বুঝতে পারি, এটাই বড় পাওয়া।

 

আপনার ক্যারিয়ারই কি আপনার ছেলের সংগীতপ্রীতিতে প্রভাব ফেলেছে?

তা তো পড়েছেই। এ ব্যাপারে আমি বেশ দায়িত্বশীল ছিলাম। ও প্রায়ই আমার ইনস্ট্রুমেন্টগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত। রেওয়াজের সময় আমার পাশেই বসে থাকত। আট বছর বয়সেই সে মোটামুটি হারমোনিয়াম আর গিটার বাজানো শিখে ফেলে। হাবিব যেমন আমাকে গান নিয়ে চমকিত করে দিয়েছিল তেমনি সম্প্রতি একজন আমাকে চমকিত করেছে, তিনি পথিক। গুনগুন করে গাইতে শুনে আগ্রহী হয়েছিলাম। দেখলাম খুবই দারুণ গান করেন। বেশ কিছু গান তৈরি তাঁর। অসাধারণ তাঁর প্রতিভা।

 

আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ আপনার জন্মদিন এই দিনটা নিয়ে আপনার অনুভূতি কেমন কাজ করে?

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে আমার জন্মদিন পালন হয়। নিজেকে আমি ভাগ্যবান মনে করি। এদিকে আমার জন্ম আবার ভাষা আন্দোলনের বছর ১৯৫২ আর দিনটা হলো ২৬ মার্চ। দেশের জন্মের দিন আমার জন্ম। এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে। দেশের বাইরে না গেলে ওই দিনটায় আমি গ্রামের বাড়িতে থাকার চেষ্টা করি। গ্রামের মানুষজনদের নিয়ে খুব মজা করে জন্মদিনটা পালন করে থাকি। কেক কাটা হয়। ভালো ভালো রান্নাবান্না করা হয়। গ্রামের পরিবেশটা আমি সবসময় উপভোগ করি।

 

অনেকে এখন মনে করছেন গানের সুদিন ফিরে আসছে, আপনি কি করেন?

ভালো গানের মূল্যটা চলে গিয়েছিল আমি বলব না। আমি মনে করি কমে গিয়েছিল। এখন আবার সুদিন ফিরে আসছে বলে মনে করি। সত্যের জয় যেমন একসময় হবেই  তেমনি রুচিশীল মনে রাখার মতো ভালো ভালো গান। আত্মাকে ধাক্কা মারে এমন গান ফিরে আসছে। আগে ১০টা ভালো গান হলে আটটা জনপ্রিয় হতো। ইদানীং হয়তো দুইটা জনপ্রিয় হয়। এখন আবার ভালো ভালো গান শুনছে মানুষ। মনে দাগ কাটার মতো গান হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর