শিরোনাম
বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

একজন বাবা সবসময়ই ছেলের কাজে খুশি থাকে

একজন বাবা সবসময়ই ছেলের কাজে খুশি থাকে

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম এক নক্ষত্রের নাম  ‘মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা’। যিনি চলচ্চিত্রকার হিসেবে সফল। সম্প্রতি ছেলে মাশরুর পারভেজের পরিচালনায় ‘গোয়িং হোম’ ছবিতে অভিনয় করেছেন এই ড্যাশিং হিরো। তাঁর সঙ্গে এই ছবি ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

অসুস্থ ছিলেন। এখন কেমন আছেন?

অসুস্থ এখনো আছি। তবুও শোকর আলহামদুলিল্লাহ!

 

ছেলে মাশরুরের নির্মাণে ‘গোয়িং হোম’ দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। বাবা হিসেবে বিষয়টি কেমন লাগছে?

আমি খুবই খুশি হয়েছি। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে এটি। সিনেমাটি এবার অবশ্য ঢাকায় রিলিজ হচ্ছে আগামী মাসের ১১ তারিখে। কিন্তু এর আগে এটি লন্ডনে রিলিজ হয়েছে। সেখানে যারা এই সিনেমাটি দেখেছেন বা এটি নিয়ে যে রিপোর্ট লিখেছেন, সেটা দেখেছি আমি। টেলিফোনও করেছেন অনেকে দেখে। মাশরুর অনেক যত্ন নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছে। সো, আই ওয়াজ ভেরি হ্যাপি। আসলেই আমি খুবই গর্বিত ওর জন্য।

 

ছেলের পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন...

ওর ছবিটা অনেক ট্রিপিক্যাল আর কি! তো এখানে মেইন ক্যারেক্টার বা বিরাট একটা চরিত্র প্লে করেছি, তা নয়। এটাকে ক্যামিও বলা যাবে না। আমি যখন এই মুভিতে কাজ করেছি তখন আমি সারা জীবনে যেটা করি সেটাই করার চেষ্টা করেছি। মানে আমি পরিচালককেই সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি এটা মনে করিনি যে, ছেলের ছবিতে কাজ করছি। মনে করেছি, আমি একজন আর্টিস্ট আর সে একজন ডিরেক্টর। আমার কাজ হলো ডিরেক্টরকে সন্তুষ্ট করা। আর একজন বাবা সবসময়ই ছেলের কাজে খুশি থাকে, যখন সে দেখে তাঁর ছেলে ভালো কোনো কিছু তৈরি করতে যাচ্ছে।

 

কখনো কি চেয়েছিলেন ছেলে ফিল্মে আসুক?

না, আমি চাইনি। কখনো চাইনি আমার ছেলে ফিল্মে আসুক। অনেকেই জানেন, আমি গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে কোনো ফিল্মে কাজ করিনি। তাই আমার হয়তো চিন্তায় ছিল যে, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি খুব বেশি দিন টিকবে না। তবে ওর মার অবশ্য শখ ছিল ছেলেকে ফিল্মে অভিনয় করানোর। আমাকেও বলত। তবে আমি বলতাম না, ছবিতে নেব না। 

 

অনেকেই নিজেকে সুপারস্টার, মেগাস্টার বলে জাহির করেন। সুপাস্টার হওয়া কী এত সহজ?

একজন সুপারস্টার, মেগাস্টার হতে গেলে তো শুধু ফিল্মের কাজ নয়, তাঁকে যেমন নৈতিক জ্ঞান, শিষ্টাচার বোধ, মানবিক হতে হয়, তেমনি তাঁর থাকতে হয় অসাধারণ পারসোনালিটি, শিক্ষাসহ অনেক কিছু। আমি তো বলব, আপনারাই সবাইকে সুপারস্টার বানাচ্ছেন, মেগাস্টার বানাচ্ছেন বা রয়েল স্টার বানাচ্ছেন। কই, আমরা তো কখনো বলিনি! আর যাঁরা বলেছেন তাঁরা নিজেরাই বলেছেন, তবে কখনো প্রচার করেননি। পপুলার আর্টিস্ট আর স্টার- এ দুটোর মধ্যেও কিন্তু তফাৎ আছে। একজন আর্টিস্ট অনেক পপুলার হতেই পারেন। এখানেও দু-একজন আর্টিস্ট ভীষণ পপুলার। তবে তারা কি শিল্পী? শিল্পী তো অনেক ওপরে। কাউকে যখন শিল্পী বলা হয়, তখন তাঁর মধ্যে অনেক অনেক গুণের সমাহার থাকতে হয়।

 

আপনার অভিনীত কোনো ছবি যদি কেউ  রিমেক করতে চান কোনো নির্মাতা...

আমি সে সময় যে সব ছবি করেছি, সে সব ছবিতে আমার এ বয়সে কেন্দ্রীয় চরিত্র করা এখন সম্ভব নয়। অন্য কেউ যদি করে তবে আমি খুবই খুশি হব। যেমন পাওয়ারফুল আর্টিস্ট যদি হয় আমি খুব খুশি হব ‘মা’, ‘স্ত্রী’, ‘জীবননৌকা’ বা ‘এপার-ওপার’ যদি করে।

সর্বশেষ খবর