বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

গড্ডলিকা-প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি

গড্ডলিকা-প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি

শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম। সাবলীল অভিনয়ের কারণে তিনি দর্শকনন্দিত। নিজস্ব ধারার অভিনয়গুণে সবসময় তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন।  তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

এখনো কি বেশি রাত করে শুটিং করেন?

বেশি রাত করে শুটিং আসলে করতে চাই না। তবে উৎসব হলে একটু চাপ থাকে। 

 

পরিবারকে কীভাবে সময় দেন?

কিছু সময় তো থাকেই। পরিবারের জন্য কিছু সময় রাখা হয়। সেই সময়টুকুই তাদের দিই।

 

‘হুব্বা’র ফার্স্ট লুকে অন্যরকম লুকে দেখা গেল। চরিত্রটি নিয়ে একটু বলবেন?

হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন ‘দাউদ ইব্রাহিম’, যার প্রকৃত নাম ‘হুব্বা’ শ্যামল। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে উত্থান ঘটে এই গ্যাংস্টারের। সেই চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এই গ্যাংস্টারের জীবনকে বড় পর্দায় আনতে চলেছেন ব্রাত্য বসু।

 

একই নির্মাতার কাজ তো আগেও করেছেন...

সেটা বছরদুয়েক আগে। ‘ডিকশনারি’তে অভিনয় করেছিলাম।

 

মহানগর, দৌড় দুই বাংলায় প্রশংসিত হয়েছে...

এই ওয়েব সিরিজগুলো দুই বাংলার মানুষ পছন্দ করেছেন। ভালো কাজে প্রশংসা করবে, এটাই তো স্বাভাবিক, তাই না?

 

আপনার অনেক গুণের মধ্যে গান লেখা ও গাওয়া অন্যতম। এখন গান লিখছেন না কেন?

সেই ছোটবেলায় লিখেছিলাম। তখন গানের কথাগুলো এমনিতেই মনের চিত্রপটে ধরা দিত। আহা, সেই সময়! তবে দলে থাকলে গান লেখা হতো। এখন হতে চায় না। মিডিয়ায় ঢুকে ট্যাকার লাগি বন্দি হইয়া গেছি।

 

প্রথমবারের মতো সিনেমায় গান গেয়েছেন... 

ছবির প্রয়োজনে জেলখানার মধ্যে একটা গান দরকার ছিল নির্মাতা ফজলে কবীর তুহিনের। গাইতে বলল, গাইলাম। আমারই লেখা ও সুর করা। আর সংগীত পরিচালনা করেছেন আশরাফ বাবু।

 

টিভি চ্যানেলের জন্য কোনো নাটক লেখেননি?

মিডিয়ার জন্য কোনো নাটক লেখাই শেষ করতে পারিনি। লিখছি, ভালো লাগেনি; তা আবার ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি। একটি লিখছি- নাম ‘তালাক’। একসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগ আমার তিনটা নাটক মঞ্চায়ন করেছে।

 

নামনির্ভর নাটক কি প্রাসঙ্গিক?

প্রাসঙ্গিক কি, মাঝে মাঝে একধরনের জোয়ার আছে। এটা আমাদের একধরনের বন্ধ্যত্ব! নাম ভেবেচিন্তে হওয়া উচিত। একধরনের গড্ডলিকা-প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি। নিজেরও এসব ভালো লাগে না, বিশ্বাস করেন! মাঝখানে শর্তও দিয়েছিলাম যে, নামনির্ভর নাটক হলে করব না। বিরক্ত হয়ে গেছি। বৈচিত্র্য থাকা উচিত।

 

অনেকেই বলে আপনি অনেক ডিমান্ড করেন...

এটা তো সমবায় সমিতি নয়। ব্যক্তিগতভাবে বলব, টাকা চাইতে আমার অস্বস্তি লাগে। জীবনে কখনো টাকা চেয়ে নিইনি; আই অ্যাম অফারড।

 

নির্মাণে আসবেন?

কখনো আসার ইচ্ছা নেই।

 

থিয়েটারে ফিরবেন কবে?

থিয়েটার করি। এটা আমার শিকড়। ফিরতে তো হবেই।

সর্বশেষ খবর