সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

আমার কাছে মুক্তির স্বাদ অন্যরকম

আমার কাছে মুক্তির স্বাদ অন্যরকম

নন্দিত অভিনেত্রী-নির্মাতা হৃদি হক। প্রথমবারের মতো তাঁর পরিচালনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘১৯৭১-সেই সব দিন’  ১৮ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্র ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

আহত হয়েছেন শুনেছি। কী হয়েছিল?

আমার পায়ের চার নম্বর আঙুল ভেঙে গেছে! তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একা একাই পড়ে গিয়েছিলাম। সেদিন একটি মিটিং ও লাইভ শোর জন্য একটু বেশিই তাড়া ছিল। এরপর হাসপাতালে গিয়ে পা এক্স-রে করালে দেখা যায়, চার নম্বর আঙুল দুই ভাগ হয়ে গেছে!

 

সুস্থতা কামনা করছি। এই শোকের মাসকেই কেন নিজের নির্মিত চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে বেছে নিলেন?

আমি সবসময়ই শোককে শক্তিতে পরিণত করায় বিশ্বাসী। আমাদের দেশ স্বাধীন করতে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের শোক একসময় আমরা শক্তিতে পরিণত করেছি। আমি মনে করি, আমার চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার জন্য আগস্ট মাস একটি বিশেষ সময়। একে তো এটি মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র। ’৭১-এর সময়কার। অন্যদিকে এটি একটি কমার্শিয়াল চলচ্চিত্র। এই সময়টি সিনেমা মুক্তির জন্য সুসময়। ভালো ভালো সিনেমা এখন ধারাবাহিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমা হলে দর্শকদের ঢল নামছে। তাই নিজের কথা না ভেবে সিনেমা মুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা জরুরি বলে মনে করেছি। প্রথমত এটি ট্রিবিউট করা চলচ্চিত্র। দ্বিতীয়ত এটি ফুল কমার্শিয়াল ফিল্ম। সবমিলিয়ে এই মাসটা আমার জন্য সুন্দর সময়।

 

প্রথম নির্মিত চলচ্চিত্র, সেটা আবার বাবার লেখা মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে...

প্রথম, দ্বিতীয় বুঝি না; কাজের শুরু করতে হবে-সেটাই মূল বিষয়। এই ভাবনার মধ্যেই যতটুকু করার চেষ্টা করেছি। মুক্তিযুদ্ধের এই গল্পটা বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে, এটা ড. ইনামুল হকের লেখা। যা আমাদের খুব চেনা গল্প। সেই সময়ের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, কষ্ট, বেদনা পেরিয়ে মুক্তির স্বাদের নেশায় সবাই বিভোর ছিল বলেই আমরা ’৭১-এর দেখা পেয়েছিলাম। পেয়েছি স্বাধীনতা। তাই আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের পর মুক্তির স্বাদ অন্যরকম। 

 

সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারণা কেমন চলছে?

আমাদের বিশাল অর্থ নেই। তবুও তো আমরা থেমে থাকব না। আমরা সবসময়ই চেয়েছি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে যেতে। তাই তো ব্যানার পেইন্টিং আইডিয়া ছিল আমাদের। ইতোমধ্যেই ব্যানারটি ঢাকার ১২টি স্থানে বিলবোর্ড হিসেবে শোভা পাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা ফাস্টলুক ও সেকেন্ডলুক হিসেবে দুটি গানও প্রকাশ করেছি। ট্রেমিন্ডাস সাড়া পেয়েছি গান দুটিতে। সাধারণ অডিয়েন্সও লুফে নিয়েছে। অর্গানিক ও কোনো বুস্ট ছাড়াই গান দুটি সবার মাঝে পৌঁছে গেছে। সামনে ট্রেইলার ছাড়া হবে। একটি বড় ইভেন্ট করব। সেটা হবে সাইকেল র‌্যালি। আমাদের ‘যাচ্ছো কোথায়’ গানে সাইকেল দেখানো হয়েছে। তাই এই ভাবনা থেকেই সাইকেল র‌্যালির চিন্তা।

 

বাবা নেই, কিন্তু মা রয়েছেন। তিনি মেয়ের এই বিশেষ কাজটি নিয়ে কতখানি সন্তুষ্ট?

বাবা-মা দুজনই আসলে আমার খোলা পথ। বাবা কখনোই কোনো কাজে আমাকে বাধা দেননি। তিনি ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা। আর মা-বাবা দুজনই শতভাগ সততা দিয়ে যে কোনো কাজ করতে বলেছেন। সবসময়ই বলেছেন, তোমার কাজ তোমাকেই করতে হবে। বাবা নেই কিন্তু মা সেই বাবার মতোই আমাকে সাহস দিয়েছেন। আমার কাজে তিনি আনন্দিত। তবে বাবার সঙ্গে এখন কোনো কিছু শেয়ার করার সুযোগ পাই না। মাঝে মাঝে ভাবি, আসলেই কি পারি না? পরে ভাবি, কই পারি তো! বাবা তো সবসময় সঙ্গেই আছেন। যে কোনো কিছুর উত্তর তো পাই।

সর্বশেষ খবর